স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে ট্রাফিক ব্যারাকের ছাদে গাছের সঙ্গে দড়িতে ঝুলতে দেখা যায় সুদীপ্ত রায় নামে ওই পুলিশ কর্মীকে। সন্দীপ রায় পুলিশের RAF-এ কর্তব্যরত ছিলেন। তিনি নদিয়া জেলার বাসিন্দা ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ট্রাফিক ব্যারাকের অন্যান্য পুলিশ কর্মীরা দেহটি ঝুলতে দেখে। সঙ্গে সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে খবর দেওয়া হয়।
তবে ওই পুলিশ কর্মী কেন আত্মঘাতী হয়েছেন সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি সহকর্মীরা। কর্ম জগতের কোনও সমস্যার কারণে নাকি ব্যক্তিগত কোনও সমস্যা থেকে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন, তা এখনও নিশ্চিত নয়। বিষয়টি নিয়ে ট্রাফিক ব্যারাকের অন্যান্য পুলিশ কর্মীরাও মুখ খুলতে চাননি।
দেহ উদ্ধারের পর হাওড়া থানায় খবর দেওয়া হয়। হাওড়া থানার পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। খবর দেওয়া হয়েছে পরিবারের লোকজনদের। পুলিশ কর্মী কেন আত্মহত্যা করলেন তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে হাওড়া থানার পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাঁর সহকর্মীদেরকে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলা হবে বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।
প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি মাসে হুগলি জেলার চুঁচুড়া ব্যারাকের এক পুলিশ কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। চুঁচুড়ায় রেজিস্ট্রি অফিসের উলটোদিকে একটি দোকান থেকে ওই পুলিশ কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত পুলিশ কর্মীর নাম রবি পাত্র(৫৮)। খবর পাওয়া পর চুঁচুড়া থানার পুলিশ এসে ঝুলন্ত দেহটি উদ্ধার করে।
এর আগে ডিসেম্বর মাসে কলকাতা পুলিশে কর্মরত এক আধিকারিকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল মালদা জেলার রতুয়া থেকে। মালদার রতুয়া-১ ব্লকের বাহারাল পঞ্চায়েতে বাখরা গ্রাম থেকে উদ্ধার হয় দেহ। মৃত পুলিশকর্মীর নাম যতনকুমার রায়। বয়স ৫২। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০০০ সালে কলকাতা পুলিশে চাকরি পান যতনকুমার।