মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে গত বছর ২৩ ডিসেম্বর একটি প্রি-লিটিগেশন মামলা রুজু করেন কর্তৃপক্ষের সচিব সুনীলকুমার শর্মা। শেষমেশ সেই টাকা হাতে পেলেন স্ত্রী। আপাতত কয়েকদিনের জন্য তাঁর আর্থিক সমস্যার সমাধন হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি থানার অন্তর্গত খাটখুরা গ্রামের বাসিন্দা মনীন্দ্র রানা। তিনি পেশায় শ্রমিকের কাজ করতেন। ২০২১ সালের ৭ মে জামবনি থানার একটি খুনের মামলায় মনীন্দ্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর থেকে তিনি ঝাড়গ্রাম বিশেষ সংশোধনাগারে বন্দি।
গিধনি সাব পোষ্ট অফিসে ২০১৪ সালের ২৭ মার্চ ৩ হাজার টাকার এনএসসি এবং ২০০৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর ৩ হাজার টাকার কিষাণ বিকাশ পত্র কিনেছিলেন মনীন্দ্র। দুটি গচ্ছিত টাকার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়। কিন্তু তিনি জেলে বন্দি থাকার কারণে সেই টাকা তুলতে পারেনি সে বা তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
গত বছর ২৩ ডিসেম্বর মিতা রানার করা অভিযোগের ভিত্তিতে প্রি-লিটিগেশন মামলা রুজু করে গিধনি পোষ্ট অফিস এবং ঝাড়গ্রাম মহকুমা পোস্টাল ইন্সপেক্টরকে নোটিশ পাঠানো হয়। উভয় পক্ষকে ডেকে বিষয়টি সমাধান করেন সচিব। পাশাপাশি ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব মনীন্দ্রর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীয়ের জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের বন্দোবস্ত করে দেন। অভিযোগ জানানোর মাত্র তিন মাসের মধ্যে সমস্যার সমাধান হয় মিতা রানার।
ঝাড়গ্রাম মহকুমার পোস্টাল ইন্সপেক্টর সুমন্ত কুমার দাস বলেন,”যাঁর নামে টাকা থাকে তিনিই কেবলমাত্র টাকা তুলতে পারেন। কিন্তু এক্ষেত্রে ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মত আইন মাফিক আমরা জেলে বন্দি থাকা মনীন্দ্র রানার স্ত্রীর হাতে এনএসসি এবং কিষাণ বিকাশ পত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণবাবদ চেকের মাধ্যমে সুদ সমেত মোট ১২ হাজার ৩৭৫ টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে।”
হাতে চেক পেয়ে খুশি স্ত্রী মিতা রানা। মিতা বলেন,”ওই টাক স্বামীকে জেল থেকে ছাড়ানোর জন্য খরচ এবং ছেলের পড়াশুনার কাজে লাগাবে। বিনামূল্যে ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ আমাকে যে সাহায্য করেছে তার জন্য ওনাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ থাকব।”