অফিসে এয়ার কন্ডিশনড মেশিন লাগানোর দাবিতে ধরনায় বসলেন NBSTC-র কোচবিহার ডিভিশনাল অফিসের কর্মীরা। সেন্ট্রাল বাস টার্মিনাসের ভেতরে থাকা ওই অফিসের কর্মীরা মঙ্গলবার সকাল থেকে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। পরিবহণ সংস্থার অফিসে অ্যাকাউন্ট সেকশন এবং অন্যান্য দফতরের কর্মীরা প্রতিবাদে কর্মবিরতি শুরু করেন। অফিসের সামনেই ধরনায় বসে এসি লাগানোর দাবি করেন।
তাঁদের অভিযোগ, বছরখানেক আগে তাঁদের অফিসে বর্তমান জায়গায় স্থানান্তরিত হয়েছে। কর্মীদের দাবি, প্রচণ্ড কাজের চাপ রয়েছে তাঁদের। অনেক ‘ভাইটাল’ কাজ করতে হয়। কিন্তু প্রচণ্ড গরমে তাঁরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন। সে কারণেই তাঁরা অফিসে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত মেশিন বসানোর দাবি করেন।
কর্মীরা জানান, দিন কয়েক আগে তাঁদের এক সহকর্মী গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাই অফিসে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত মেশিন বসানোর দাবিতে তাঁরা এদিন ধরনায় বসেছেন। তাঁদের এই দাবি ঘিরে হইচই পড়ে যায় অফিস চত্বরে। যদিও বিষয়টি নিয়ে NBSTC কতৃপক্ষ কোনো মন্তব্য করতে চায়নি।
অফিসের এক কর্মচারী সংযুক্তা নাগ বলেন, ” এখানে এতগুলো লোক কাজ করছে, হাঁসফাঁস অবস্থা। গত বছর এই সমস্যার কথা জানিয়েছিলাম, কোনও ব্যবস্থা হয়নি।” তিনি আরও বলেন, ” অফিসে যে ফ্যান আছে, তাতে গরম হাওয়া বের হচ্ছে। চারদিক থেকে জানলা দিয়ে রোড ঢুকছে। প্রচণ্ড সাফোকেশন অবস্থা।” বিষয়টি ডিভিশনাল ম্যানেজারকে মৌখিকভাবে জানান হয়েছে বলেও জানান কর্মীরা।
কর্মীদের তরফে জানানো হয়েছে, যে অফিসটিতে তাঁরা বর্তমানে কাজ করছেন, সেখানে পর্যাপ্ত হাওয়া চলাচলের অসুবিধা হয়। সে কারণে কর্মীদের দমবন্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে, তাঁরা ছাদের উপর ত্রিপল টাঙিয়ে দেওয়ার কথা জানান। তবে কর্মীদের অভিযোগ, ত্রিপল টাঙিয়ে দিলেও সমস্যার সঠিক সমাধান হবে না।
সে কারণে একটি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত মেশিন বসানোর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। প্রসঙ্গত, এদিন কোচবিহারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রায় ছিল প্রায় ৩৬ ডিগ্রির কাছাকাছি। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ভালোই। উত্তরবঙ্গ জুড়ে স্বাভাবিকের থেকে বেশি তাপমাত্রা লক্ষ্য করা যায়। যদিও কিছুদিনের মধ্যে উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।