Recruitment Scam : ‘ও এমন করতেই পারে না…’, ভাঙা বাড়িতে ডুকরে কেঁদে উঠছেন জীবন-জননী – jiban krishna saha mother claims her son was not involved in teacher recruitment scam


সাংসারিক অশান্তির জন্য ছেলেকে ছোটবেলায় সেভাবে কাছে পাননি। কিন্তু, বিধায়ক ছেলে নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত! এই অভিযোগ মানতে পারছে না প্রবীণ হৃদয়। কান্নায় ভেঙে পড়লেন বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার মা বেলারানি।

স্বামীর সঙ্গে তাঁর বনিবনা হয়নি। তাই আপাতত তাঁর ঠিকানা খড়গ্রাম থানার পারুলিয়ায় নিজের বাপেরবাড়ি। সংবাদ মাধ্যম মারফত গত কয়েকদিনে ছেলের বিষয়ে একাধিক তথ্য কানে গিয়েছে প্রবীণার। CBI-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক। ছোটবেলায় ছেলেকে কাছে পাননি তিনি।

Jiban Krishna Saha TMC MLA: বাবাকে জেল খাটানোর হুমকি! ছেলে জীবনকৃষ্ণ গ্রেফতার হতেই স্বস্তিতে বাবা বিশ্বনাথ
কিন্তু, জীবন কোনও অন্যায় করতে পারে, তা মানতেনারাজ বেলারানি।তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি না জীবন কোনও অন্যায় করতে পারে। ওকে ফাঁসানো হয়েছে। যারা এই চক্রান্ত করেছে তাদের ভগবান ক্ষমা করবে না। মায়ের চোখের জল মিথ্যা হবে না।” তিনি জানান, ছেলের সঙ্গে শেষ দেখা হয়েছিল চৈত্র মাসের মাঝামাঝি সময়ে। মাকে নবর্ষের শাড়ি দিয়ে প্রণাম করে এসেছিলেন জীবন।

Jiban Krishna Saha : জীবনখাতার প্রতি পাতায় দুর্নীতিরই হিসাবনিকাশ
বেলারানি জানান, জীবনকৃষ্ণ সাহার যখন মাত্র সাত বছর বয়স তখনই স্বামীর ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। তাঁর কথায়, “আমাকে মেরে বাড়ি থেকে বার করে দিয়েছিলেন আমার স্বামীবিশ্বনাথ সাহা। কিন্তু, আইনি বিচ্ছেদ আজও হয়নি। তবে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। আমি ঘৃণায় আইনি প্রতিবন্ধকতাও তৈরি করিনি।”

জীবন সহ আরও দুই কন্যাকে স্বামীর বাড়িতে রেখেই বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় বড় মেয়ের বয়স ছিল চার, আর ছোট মেয়ের বয়স ছিল তিন মাস। তবে জীবনকৃষ্ণ সাহা নিয়মিত মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। মায়ের জন্য শাড়ি থেকে শুরু করে টাকাপয়সাও পাঠাতেন। তিনি জানান, চৈত্র মাসে এসেই বিধায়ক মাকে প্রণাম করে গিয়েছিলেন। ফোনে খুব একটা কথা হত না ছেলের সঙ্গে।

Mamata Banerjee Jiban Krishna Saha : ‘BJP-র গেমপ্ল্যান’, জীবনের গ্রেফতারিতে সরব মমতা
তবে এক মাস , দু’মাস ছাড়াই মামা বাড়িতে গিয়ে মায়ের সঙ্গে দেখা করতেন তিনি। তবে মাকে কোনওদিন বাড়ি ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেননি তিনি। রেশনের ডিসট্রিবিউটরশিপের লাইসেন্স ছিল বেলারানির নামে। অভিযোগ, স্ত্রী বাড়ি ছাড়ার পর তাও জোর করে নিজের নামে লিখে নিয়েছিলেন বিশ্বনাথ সাহা। যদিও বিশ্বজিৎ যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করেছেন।

উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেনজীবনকৃষ্ণ সাহা। তাঁর বিরুদ্ধে দু’টি ফোন পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল। এরপর তাঁর পুকুরের জল ছেঁচে সেই মোবাইলগুলি উদ্ধার করা হয়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *