রাজু ঝা হত্যাকাণ্ডে জড়িত তারই একসময়ের সহযোগী! পুলিসের স্ক্যানারে দুর্গাপুরের ব্যবসায়ী


চিত্তরঞ্জন দাস: শক্তিগড়ে কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা হত্যাকাণ্ডের ১৯ দিন পর পুলিসের জালে অভিজিত্ মণ্ডল নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিসে। দুর্গাপুর-আসানসোলের এক ব্যবসায়ীর গাড়ির চালক ছিল সে। এবার তদন্তকারীদের নজরে সেই ব্যবসায়ী নারায়ণ খেরকা। এই নারায়ণও কি রাজু ঝা হত্যাকাণ্ডে জড়িত? এই প্রশ্ন উঠছে। অভিজিত্ মণ্ডল ধরা পড়তেই গা ঢাকা দিয়েছে ব্যবসায়ী নারায়ণ। ফলে সন্দেহ বাড়ছে সিট-এর। বুধবার তার দুর্গাপুরের অফিসে যান সিটের সদস্যরা। সেই অফিস সিল করে দেওয়া হয়। অভিজিত্ মণ্ডলের বাড়িতেও যান তদন্তকারীরা।

আরও পড়ুন-ইদের দিন শহরজুড়ে মোতায়েন করা হচ্ছে কয়েক হাজার পুলিসকর্মী, বসছে ৩৪৬ পুলিস পিকেট

তল্লাশি করার জন্য নারায়ণ খেরকার অফিসের চাবি আনতে বলা হয়। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা কেটে গেলেও সেই চাবি আসেনি। তাই শেষপর্যন্ত সেই অফিস সিল করে দেয় পুলিস। কেন নারায়ণের খোঁজ করছে পুলিস? কারণ এই নারায়ণ খেরকার অফিসেই থাকতো অভিজিত্। গত পনের বছর ধরে তার গাড়ি চালাচ্ছে অভিজিত্। ফলে সে নারায়ণ সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আজ অভিজিত্ মণ্ডলকে নিয়েই তদন্ত বের হয় পুলিস। সূত্রের খবর, সকালে অফিসে এসেছিল নারায়ণ খেরকা।। কিন্তু কিছুটা সনময় কাটিয়েই সে অফিস ছেড়ে চলে যায়।

নারাযণ খেরকার সঙ্গে একসময় ব্যবসায়ীক সম্পর্ক ছিল নিহত রাজু ঝা-র। পরে সেই সম্পর্ক ছিন্ন হয় যায়। পাশাপাশি অভিজিত্ বহু দিন ধরেই নারায়ণের সঙ্গে রয়েছে। ফলে রাজু ঝার সঙ্গে নারায়ণের বিচ্ছেদের ব্যাপারে কিছু তথ্য তার কাছ থেকে পাওয়া যেতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর নারায়ণ খারকার সঙ্গে রাজু ঝা-র সম্পর্ক হালফিল ভালো যাচ্ছিল না। সেই সম্পর্ক কতটা খারাপ ছিল তা তদন্ত করে দেখছে পুলিস। জানা যাচ্ছে অভিজিত্ মণ্ডলকে গ্রেফতারের পর আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করতে পারে পুলিস।

গত ১ এপ্রিল পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের পাশে খুন হন দুর্গাপুরের কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা। সেদিন রাত পৌনে ৮ টা নাগাদ শক্তিগড়ে কলকাতামুখী ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে একটি ল্যাংচার দোকানের সামনে এসে দাঁড়ায় সাদা রঙের একটি ফরচুনা গাড়ি। ওই গাড়ির চালকের পাশের সিটে বসে ছিলেন রাজু ঝা। একই গাড়ির পিছনের আসনে বসে ছিলেন রাজু ঝা-র সহযোগী ব্রতীন মুখোপাধ্যায় ও সিবিআইয়ের তদন্তাধীন গরু পাচার মামলায় ফেরার অভিযুক্ত আব্দুল লতিফ। রাজু ঝায়ের গাড়ি শক্তিগড়ে ল্যাংচার দোকানের সামনে দাঁড়ানোর কিছু সময়ের মধ্যেই সেখানে এসে দাঁড়ায় শার্প শুটাদের নীল রঙের একটি চারচাকা গাড়ি। এরপর এক মুহূর্ত সময় নষ্ট না করে ওই গাড়ি থেকে নেমেই দুই শার্পশুটার পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পর পর গুলি চালিয়ে রাজুর শরীর ঝাঁঝরা করে দিয়ে পালিয়ে যায়।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *