স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুর পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে একটি পুকুর ভরাটকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। পুরসভা পুকুর বুজিয়ে ওখানে কমিউনিটি হল তৈরি করবে বলে দাবি বিরোধীদের। কিন্তু যেখানে পুকুর বোঝানো বেআইনি সেখানে কী ভাবে খোদ পুরসভা তরফে পুকুর ভরাট করা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।
বোলপুর পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর খোদ বোলপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পর্ণা ঘোষ। তাঁর স্বামী সুদীপ্ত ঘোষ বীরভূম জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির মেম্বার ও সহ-সভাপতি। তাঁদের এলাকাতেই পুকুর বোজানোর অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে এলাকায়। পুরসভার চেয়ারম্যানের এলাকায় পুকুর ভরাট নিয়ে সরব হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশও।
ওই ওয়ার্ডেরই প্রাক্তন বিজেপি কাউন্সিলর বিকাশ মিশ্র। তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট পুকুরটির নাম দত্তপুকুর। পুকুরটি খুব বড় পুকুর ছিল, গভীরতা ছিল অনেক বেশি। এছাড়াও সারা বছরেই পুকুরে জল থাকতো। এলাকার মানুষ এই পুকুরের জল ব্যবহার করত। তিনি বলেন, “এই পুকুরটা অক্ষত ছিল কিন্তু এখন আপনারা নিজেরাই দেখতে পাচ্ছেন এই পুকুরটা ভরাট করা হচ্ছে। যেটা বেআইনি এবং অত্যন্ত নিন্দনীয়।”
বিজেপি কাউন্সিলর বলেন, “এর আগেও একবার পুকুর ভরাট করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তখন আমরা আন্দোলন করেছিলাম।” বেআইনি ভাবে পুকুর ভরাট হলে আগামী দিনে ফের আন্দোলনের পথে নামতে হবে বলে জানান তিনি।
যদিও এই প্রসঙ্গে পর্ণা ঘোষ করলেন, “আমি ব্যাপারটা শুনলাম। নিজে গিয়ে একবার খতিয়ে দেখব। তারপর ঠিকঠাক ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করব। তবে আমি যতটুকু জানি যে দীর্ঘদিন ধরে ওখানে কোন পুকুরের অস্তিত্ব ছিল না। তবে আমি যখন শুনলাম, তখন অবশ্যই বিষয়টি খতিয়ে দেখব।”
প্রসঙ্গত, এর আগেও বোলপুরে একাধিক জায়গায় বেআইনি পুকুর ভরাটের অভিযোগ উঠে এসেছে। গত বছরই বোলপুর পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সেনাপট্টিতে বেআইনি পুকুর ভরাটের অভিযোগে ওই এলাকার এক প্রোমোটার সহ সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়।