বর্তমানে তিনি ঝাড়গ্রাম শহরের নুননুনগেড়িয়াতে থাকেন। তাঁর বাবা তারাচাঁদ সোরেন ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত বায়ু সেনার কর্মী। তাঁদের আদি বাড়ি বিনপুর থানার অন্তর্গত ভাণ্ডারপুর গ্রামে। তারাচাঁদ বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন।
হাইপ্রেসারের জন্য গত ১৫ এপ্রিল বাড়ির বাথরুমে তিনি পড়ে যান। তারপর তাঁকে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত সোমবার ১৭ এপ্রিল বেলা পৌঁনে এগারোটা নাগাদ তিনি মারা যান হাসপাতালে। তারাচাঁদের বড় ছেলে সনাতন সোরেন GRP-তে চাকরি করতেন।
তিনি প্রায় তিন মাস আগেই মারা যান। তাই বাবার সৎকার করার জন্য মঙ্গলবার সকালে ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করেন তারাচাঁদের আত্মীয় রূপচাঁদ হেমব্রম। বিষয়টি জানতে পেরেই ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব সুনীলকুমার শর্মা আইনজীবী প্যানেল থেকে চন্দনেশ্বর সেনগুপ্তকে আদালতে প্যারোলের জন্য নিযুক্ত করেন।
সেই মত এদিন আইনজীবী প্যানেল থেকে চন্দনেশ্বর সেনগুপ্ত ঝাড়গ্রামের CJM বিচারকের এজলাসে হেমলাল সোরেনের প্যারোলের জন্য আবেদন করেন। বিচারক দুপুর ১টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত প্যারোলে বাড়ি যাওয়া এবং বাবার সৎকার করার নির্দেশ দেন হেমলালকে।
এই বিষয়ে হেমলালের আত্মীয় রূপচাঁদ হেমব্রম বলেন, “স্বর্গীয় তারাচাঁদ সোরেন আমার শ্বশুরমশাই হন। উনি ভারতীয় বায়ুসেনাতে চাকরি করতেন। অবসরের পর বাড়িতে এসে দিনযাপন করছিলেন। কিন্তু হঠাৎ তাঁর বড় ছেলে সনাতন সোরেন কয়েকমাস আগে মারা যান। এই মৃত্যু আমার শ্বশুরমশাই মেনে নিতে পারেননি।তারপর থেকেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপরেই তিনি বাথরুমে পড়ে যান। হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।”
রূপচাঁদ আরও বলেন, “শ্বশুরমশাইয়ে সৎকার করার জন্য মুখাগ্নি করতে ছেলেকে প্রয়োজন ছিল।ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষেরকাছে আবেদন করার পর ওনারা বিনামূল্যে আইনজীবী নিয়োগ করে দ্রুততার সঙ্গে প্যারোলের ব্যবস্থা করে দেন। ওনাদের কাছে এই কারণে কৃতজ্ঞতা জানাই।”
এরপর জেলবন্দি হেমলালের জামিন প্রসঙ্গে রূপচাঁদ বলেন, “একটি মামলায় সে জেলে রয়েছে, আইনজীবীর সঙ্গে তাঁর জামিনের বিষয়ে কথা চলছে।”