স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন স্থানীয় একটি চা বাগানে নিকাশি ব্যবস্থার কাজ করতে গিয়ে আচমকা গোপাল দাস নামে ওই শ্রমিককে একটি চিতাবাঘ আক্রমণ করে। ওই ব্যক্তির সামনের দিক থেকে একটি বাঘ তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। বাঘের আক্রমণের ফলে গুরুতর আহত হন ওই শ্রমিক। সঙ্গে সঙ্গে আহত গোপাল দাসকে জলপাইগুড়ির সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয়দের বক্তব্য অনুসারে গোপাল বাবুর ঘাড়ে এবং কানের পেছনে ভালোরকম আঘাত রয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে লেবু ডাঙ্গা এলাকায়। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বন্যপ্রাণ নিয়ে কাজ করা জলপাইগুড়ির একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। আহত ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা।
জানা গিয়েছে, অন্যান্য দিনের মতো বুধবার সকালে বাগানে কাজ করছিলেন চা বাগানের কর্মীরা। প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যে থেকে স্থানীয় বাসিন্দা শঙ্কর দাস জানান, সেই সময় বাগানের নিকাশিনালার কাজ করছিলেন। গোপাল বাবু নালার জঙ্গল সাফাই করে এগিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ করেই সামনে থেকে চিতা আক্রমণ করে বসে।
ঘটনার পরে, কিছু সময়ের জন্য দিকবিদিক শূন্য হয়ে গিয়েছিল। তার পরেই আশেপাশে থাকা অন্যান্যরা ডেকে গোপাল দাস কে হাসপাতালে পাঠান হয় বলে জানান তিনি। এদিকে এই ঘটনার খবর ছড়াতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পারে। চা বাগানে বাঘের খোঁজ করতে স্থানীয়রা লাঠিসোটা নিয়ে হাজির হন।
খবর দেওয়া হয় বাগান কর্তৃপক্ষ এবং জলপাইগুড়ি বন দফতরকে। তবে সেই বাঘের কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জয় দাস বলেন, এর আগে তাদের এলাকায় এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি। যে কারণে তারা আতঙ্কে আছেন। বন দফতরকে বলা হয়েছে বাঘ ধরার ব্যবস্থা করার জন্য।
উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগেই চা বাগানে চা তুলতে গিয়ে চিতা বাঘের আক্রমণে আহত হন এক মহিলা। ঘটনাটি ঘটে মালবাজার মহকুমার ক্রান্তি ব্লকের ধলাবাড়ি নাড়াধুরা চা বাগানে। হাচিতুণ বেগম নামে এক চা বাগানের শ্রমিকের ওপরে বাঘ লাফ দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। পরে তাঁকে মাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।