তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে মমতার সঙ্গে ছিলেন মুকুল। এমনকী তাঁর উপর মমতার আস্থাও ছিল অটুট। সেই মুকুলই ২০১৮ সালে বিজেপিতে যোগ। ২০২১-র বিধানসভা নির্বাচনের পর ফের ঘরওয়াপসি হয় মুকুলের। এদিন এক সময়ের সতীর্থকে নিয়ে তিনি বলেন, “আমার এটা নিয়ে কিছু বলা উচিত নয়। তবে ওনার ছেলে থানায় অভিযোগ দায়ের করে জানিয়েছেন, যে তাঁর বাবাকে দু’জন লোক নিয়ে চলে গিয়েছে। তাই সব থেকে ভালো হয় আপনারা ওনার ছেলেকেই জিজ্ঞেস করুন। তাহলেই জানতে পারবেন বিজেপি কেমন আচরণ করছে। হয়তো তাঁকে ভয় দেখানো হয়েছে।”
মুকুল প্রসঙ্গে মমতা আরও বলেন, “আমি এই প্রসঙ্গে আর একটিও কথা বলতে চাইনা, কারণ উনি এখনও বিজেপি বিধায়ক। ওনার ছেলে এই বিষয়ে কথা বলতে পারবে। এটা খুব ছোটো বিষয়, আমাদের এতে কিছু যায় আসে না। তবে আমার মনে হয় ওনার নিখোঁজ থাকার বিষয়টি খুবই গুরুতর।”
অন্যদিকে মুকুল রায়কে নিয়ে জল্পনা যেন থামতেই চাইছে না। তাঁর দিল্লি যাত্রার পর একাধির প্রশ্ন রাজধানীর অন্দরমহলে ঘুরপাক খাচ্ছে। মুকুল কী আদৌ বিজেপিতে যোগ দেবে? বা বিজেপি কি আদৌ মুকুলকে দলে নিতে আগ্রহী? এই প্রশ্নের উত্তর মেলা এখনও বাকি।
বিভিন্ন ধরনের জল্পনার মধ্যেই বুধবার দিল্লিতে নতুন এক দাবি করেন মুকুল। তিনি বলেন, “আমি কোনওদিন তৃণমূলে ছিলাম না, তাই দল থেকে ইস্তফা দেওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।” এদিন একটি সর্বভারতীয় চ্যানেলের সঙ্গে কথা বলার সময় মুকুল জানিয়েছেন, তিনি বিজেপিতেই রয়েছেন এবং বিজেপির হয়েই কাজ করতে চান।
অন্যদিকে মুকুল রায়ে ছেলেশুভ্রাংশু রায়সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, দিল্লিতে যাওয়ার পর পুলিশ মারফত তাঁর বাবার সঙ্গে কথা হয়েছে। শুভ্রাংশু জানিয়েছন, তাঁর বাবা তাঁকে বলেছেন যে তিনি সজ্ঞানেই সব কিছু করেছেন।