মঙ্গলবার মুকুল রায়কে নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হওয়ার পরেই উঠে আসে এই বিজেপি নেতার নাম। মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায় নিখোঁজ ডায়েরি করার পরেই তদন্ত শুরু করে NSCBI এয়ারপোর্ট থানা। সেই সময় থানায় ডাকা হয় এই বিজেপি নেতাকে। জেরা করা হয় বেশ কিছুক্ষণ ধরে।
পুলিশের জেরা সম্পর্কে বিজেপি নেতার বক্তব্য, “গতকাল NSCBI এয়ারপোর্ট থানার আইসি ফোন করে আমাকে বলেন কিছু জিজ্ঞাসাবাদ রয়েছে। আমি গিয়েছিলাম। ওঁদের যা যা জিজ্ঞাসা ছিল আমি তার উত্তর দিয়েছি। আগামী দিনেও যদি আমাকে ডাকা হয়, আমি নিশ্চয়ই প্রশাসনকে সাহায্য করবো।”
তবে বিজেপি নেতার বক্তব্য, মুকুল রায় তাঁকে ফোন করে দেখা করতে বলেন। কিন্তু কেন ? পীযূষ বলেন, “ওঁর সঙ্গে আমার অনেক বছরের সম্পর্ক। বিজেপিতে আসার পর আমি ওঁর সঙ্গে ছিলাম। আমি ওঁর সঙ্গে গিয়ে সৌজন্যতামূলক সাক্ষাৎ করি।”
মুকুল রায়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তাঁর দিল্লি যাত্রা নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা হয়। পীযূষ বলেন, “উনি বললেন, উনি দিল্লি যাচ্ছেন। উনার সাথে অনেকের কথা হয়েছে, দেখা হবে। সেদিন কলকাতার বিমানবন্দরে আমি একাই উনার সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম। উনি আমাকে বলেছিলেন উনি বিজেপির এমএলএ। উনি আবার পুরোদমে নামতে চান তাই উনি দিল্লি যাচ্ছেন।”
পাশাপাশি, মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায় তাঁর বাবাকে ফুঁসলিয়ে বা জোর করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে যে দাবি করেছেন, তা সম্পূর্ণ খারিজ করে দেন পীযূষ। তাঁর প্রশ্ন, মুকুল রায় একজন পলিটিক্যাল ফিগার। ওঁর সঙ্গে সব সময় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ দেওয়া হয়েছিল। যেখানে ওঁর পিএসও রয়েছে, পুলিশ স্কোয়ার্ড গাড়ি রয়েছে। তার ভেতর থেকে একজন কী করে মিসিং হতে পারে বা কিডন্যাপ হতে পারে?
পীযূষের দাবি, মঙ্গলবার থানায় বিষয়টি নিয়ে তিনি শুভ্রাংশু রায়কে জিজ্ঞাসাও করেছিলেন, কিন্তু তিনি কোনও উত্তর দেননি। উল্লেখ্য, বুধবার দিল্লি থেকে একটি সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে দেখা যায় মুকুল রায়কে। সেখানে তিনি দাবি করেন, তিনি বিজেপি দলের সঙ্গেই রয়েছেন। তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই। আগামী দিনে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ অনুযায়ী তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় থাকতে চান বলেও তাঁর তরফে দাবি করা হয়।