হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সাহেবনগর এলাকার বাসিন্দা সুপ্রিয়া প্রামাণিক নামে বছর পঁচিশের ওই যুবতী তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হয়। শারীরিক কিছু সমস্যার জন্য তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করান তাঁর পরিবারের সদস্যরা। হাসপাতাল কতৃপক্ষ, তাঁকে আইসিসিইউতে ভর্তি করে।
মঙ্গলবার সকালে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল হলে তাঁকে ফিমেল ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকরা। তাঁর মানসিক সমস্যা থাকার জন্য হাসপাতাল কতৃপক্ষ বাড়ির দু’জন লোককে ওই যুবতীর কাছে থাকার অনুমতি দিয়েছিল। সকাল থেকে দু’জন ওই যুবতীর কাছে থাকলেও একটা সময় দুজনেই তাঁর কাছ থেকে চলে যায়।
রোগীর এক আত্মীয় জানান, দুজনেই সর্বক্ষণ তাঁর সামনেই ছিলেন। এর মধ্যে একজন কিছুক্ষণের জন্য বাইরে যান। আরেকজন আত্মীয় শৌচালয় যাওয়ার জন্য কয়েক মিনিটের জন্য রোগীর কাছ থেকে উঠে যায়। ওইটুকু সময়ে রোগী সিড়ি দিয়ে ছাদে উঠে ঝাঁপ মারে বলে দাবি। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা হাসপাতাল চত্বরে।
সেই সুযোগে সকলের নজর এড়িয়ে ছাদে উঠে যায়। এরপর ছাদ থেকে লাফ দেয় বলে হাসপাতালে আসা লোকজন জানিয়েছেন। ওই যুবতী লাফ দিয়ে নীচে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আশেপাশের লোকজন জড়ো হয়ে যায়। এরপর হাসপাতালের ভিতরে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা শুরু করা হয় তাঁর। পরবর্তীকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা হাসপাতালে রেফার করেন। যদিও ওই যুবতীর পরিবারের লোকজন তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যায়।
এই বিষয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জ্যোতিষ দাস বলেন, “মানসিক সমস্যা নিয়ে ওই তরুণী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। আমরা তাঁর বাড়ির দুজনকে সব সময় তাঁর কাছে থাকার জন্য অনুমতি দিয়েছিলাম। ওরা কেউ ওই তরুণীর কাছে না থাকার জন্য সে কোনভাবে ছাদে উঠে যায়। তারপর পড়ে যায়।” রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে কৃষ্ণনগর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার কথা জানান হয়। পরিবারের লোকজন রোগীকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে।