Santipur State General Hospital : নেই অ্যানাস্থেসিয়ার ডাক্তার! চূড়ান্ত বেহাল দশা শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের – no anesthesia doctor in santipur state general hospital for pregnant women


West Bengal News : রাজ্য সরকার উদ্যোগী হয়েছে রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর হাল ফেরাতে। কিন্তু চূড়ান্ত বেহাল দশা শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের। অ্যানাস্থেসিয়ার ডাক্তার না থাকার কারণে তিনদিন বন্ধ থাকছে সিজার। অ্যানাস্থেসিয়ার ডাক্তার নেই, জরুরি পরিস্থিতিতেও স্থানান্তরিত করতে হচ্ছে প্রসূতি মায়েদের।

চূড়ান্ত অব্যবস্থা শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। রোগীর প্রাণহানি ঘটলে এর দায় কে নেবে? উঠছে প্রশ্ন। অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় সন্তানসম্ভবা গর্ভবতী মহিলাদের স্থানান্তরিত করা হচ্ছে অন্য হাসপাতালে।

Suri Hospital: সিউড়ি সদর হাসপাতালে সুপারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ, দায়িত্ব সামলাচ্ছেন অন্য চিকিৎসক
জরুরি অবস্থায় স্থানান্তর করার ফলে গর্ভবতী মহিলার যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটে এর দায় কে নেবে? সেই প্রশ্নই এখন সামনে এসেছে। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জেলার হাসপাতালে এখন অস্ত্রোপচারের সুবিধা রয়েছে। অর্থাৎ জরুরি পরিস্থিতিতে চিকিৎসকরা সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করাতে পারেন।

শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালওতার ব্যতিক্রম নয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং স্বাস্থ্য দফতরের তরফে হাসপাতাল চত্বরেই পরিষ্কার লেখা রয়েছে ২৪ ঘন্টা সিজারের পরিষেবা রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে অ্যানাস্থেসিয়ার ডাক্তার না থাকার কারণে চূড়ান্ত দুর্ভোগে পড়েছেন রোগী ও তার আত্মীয়রা।

Jhargram Hospital: খেলতে গিয়ে পেটে গাঁথল আস্ত বল্লম, আড়াই ঘণ্টার অপারেশনে নয়া জীবন কিশোরের
অভিযোগ অ্যানাস্থেসিয়ার ডাক্তার তিনদিন না থাকার কারণে ওই তিন দিন কোনও সিজার করা হয়নি হাসপাতালে। কোনও গর্ভবতী মহিলা যদি সেই সময় ভর্তি হয় তাহলে তার পরিবারের কাছ থেকে একটি মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়া হচ্ছে, এমনই অভিযোগ উঠেছে। অর্থাৎ নিজের দায়িত্বেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হচ্ছে।

সেখানে প্রশ্ন উঠছে যে হাসপাতালে ২৪ ঘন্টা সিজারের কথা বলা হচ্ছে সেখানে কেন রোগী ও তার আত্মীয়রা নিজের দায়িত্ব নিয়ে ভর্তি করাবেন? শুধু তাই নয়, জরুরি পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সময় অন্য হাসপাতালে তড়িঘড়ি স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। যার ফলে প্রাণহানির একটি চূড়ান্ত সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে।

Paschim Medinipur News : পাখা সঙ্গে আনবেন! তীব্র গরমে সরকারি হাসপাতালে বাইরে পোস্টার ঘিরে শোরগোল
আর এই অব্যবস্থার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা। এই বিষয়ে ক্ষোভ ঝেড়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এক প্রসূতির স্বামী জানান, “গতকাল রাতেই আমার স্ত্রী’কে এখানে ভর্তি করেছি। আমার বাড়ি থেকে এই হাসপাতাল অনেক দূর। কিন্তু খবর পেয়েছিলাম যে এখানে ২৪ ঘণ্টাই সিজার করা হয়। তাই নিয়ে এসেছিলাম। এখন এখানে এসে দেখছি যেখানে যেখানে বলবে, সই করতে হবে। এটা কেন হচ্ছে বুঝলাম না। এটা একটা সরকারি হাসপাতাল, কিন্তু ব্যবহার করা হচ্ছে বেসরকারি হাসপাতালের মতো। এভাবে চললে আমরা প্রসূতিকে নিয়ে যাব কোথায়?”

এমনই প্রশ্ন তুলছেন সকলেই। যদিও সবকিছুর মাঝেই নির্বিকার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এমনই অভিযোগ উঠেছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *