মঙ্গলবার শুভ্রাংশু জানিয়েছিলেন যে তাঁর বাবার ফোন বন্ধ সেই কারণে তিনি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। এদিন শুভ্রাংশু জানিয়েছেন, মুকুলের সঙ্গে ফোনে তাঁর কথা হয়েছে। শুভ্রাংশু বলেন, “পুলিশের মাধ্যমে বাবার সঙ্গে কথা হয়েছে। এখনও অবধি দু’বার কথা হয়েছে। আমি তাঁর থেকে জানতে চেয়েছিলাম, সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন আমাকে জানিয়ে দিল্লি আসার কথা! সেটা কী ঠিক? বাবা জানিয়েছেন যে তিনি আমাকে বা পরিরারের কাউকে জানিয়ে দিল্লি আসেননি। আমি জানতে চেয়েছি, তুমি যেটা করছ, সেটা সজ্ঞানে করছ তো? জবাবে বাবা বলেন, হ্যাঁ!”
দিল্লি গিয়ে ছেলেকে বিজেপি যোগদানের পরামর্শ দেন মুকুল। সেই প্রসঙ্গে শুভ্রাংশু বলেন, “বাবা দিল্লি গিয়ে সিপিএমকে বাংলা থেকে সরানোর কথা বলেছেন। দিল্লির সাংসদ-বিধায়ক হিসেবে দিল্লি এসেছেন বলে জানিয়েছেন। আমি আপনাদের মেডিক্যাল রিপোর্ট দেখিয়েছি। আপনার যে কোনও হাসপাতালে গিয়ে এই রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন করতে পারেন। বাবা কবে ফিরবেন বলেননি, আমি জানতেও চাইনি।”
মুকুলকে নিয়ে দিলীপ করা মন্তব্য নিয়েও মুখ খোলেন কাঁচরাপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, “দিলীপ ঘোষকে নিয়ে আমি কী বলব ঠিক জানি না। আমি এরম শিক্ষা কোনওদিন পাইনি। বাবা রাজনৈতিক কারণে বরাবরই বাইরে থাকতেন, তিনি ফিরে এসে ঠাকুমা দাদুর সঙ্গে কী ব্যবহার করতেন, আমি তা দেখেছি। আমার সব আত্মীয় স্বজনরা এখানেই থাকেন। বাবার উপর আমি কোনও অত্যাচার করেছি কিনা, সেটাই তাঁরা বলবেন।”
শুভ্রাংশু আরও বলেন, “দিলীপবাবু কী ভেবে এই কথা বলেছেন আমি জানি না। উনি আগেও এই ধরনের কথা বলেছেন। আমি ওনার নামও নিতে চাই না। শুভেন্দু ও সুকান্ত মজুমদারে চাপে উনি খানিক কোণঠাসা হয়ে গিয়েছে। তাই হাওয়ায় ভেসে থাকতে এই কথা বলছেন।”