মমতা বলছেন উপক্ষো করুন, মুকুল রায়কে নিয়ে এবার কী বললেন দিলীপ ঘোষ?


বিধান সরকার:  মুকুল রায়ের নিখোঁজ হয়ে যাওয়া ও তাঁর ছেলের বক্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ।  মুকুলের ছেলে বলছেন তাঁর বাবা নিখোঁজ। অন্যদিকে, মুকুল রায় বলছেন তিনি নিখোঁজ নন। এনিয়ে আজ দিলীপ ঘোষ বলেন, আগে ওরা বাপ-বেটা ঠিক করুন কে কী বলছেন। তৃণমূলে গেলে অনেকেই অনেক কিছু কমে যায়। কারও সোডিয়াম পটাশিয়াম কমে যায়। কার কী কমছে তা ডাক্তার বলবে।

আরও পড়ুন-‘ছোট ব্যাপার, ইগনোর করা ভালো,’ মুকুল প্রসঙ্গে মমতা

মুকুল রায়ের ছেলের অভিযোগ বিমানবন্দর থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন তাঁরা বাবা মুকুল রায়। পরে অবশ্য দেখা যায় তিনি পৌঁছে গিয়েছেন দিল্লিতে। তাঁর কাছে কোনও টাকা ছিল না। তাঁকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ মুকুলের ছেলের। মুকুল রায় কোন দলের তা নিয়ে বিতর্ক বহুদিনের। বিজেপি বিধায়ক হয়েও তৃণমূল ভবনে গিয়ে তিনি ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছেন। এখন পরিস্থিতি এমনটা দাঁড়িয়েছে যে তৃণমূল ও বিজেপি দুই দলই হাত তুলে দিচ্ছে। 

বৃহস্পিতবার চুঁচুড়ায় একটি মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে এসে দিলীপ ঘোষ বলেন, আমাদের পার্টিতে আসার পর ওঁকে প্রচুর সম্মান দেওয়া হয়েছিল। তার পরেও উনি ধোঁকা দিয়েছেন। তাতে আমাদের ক্ষতি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিরও অনেক ক্ষতি হয়েছে।

মুকুল রায়ের দাবি উনি বিজেপিতেই আছেন। দিলীপ ঘোষ বলেন, উনি বিজেপিতে থাকার কথা বলেইবা কী এসে যায়।  পার্থবাবু তো দাবি করেন তৃণমূল তার সঙ্গে রয়েছে। আসলে কি তাই? মুকুলবাবু বলছেন উনি সুস্থ আছে। ওঁর ছেলে বলছেন ওঁর মাথার ঠিক নেই। উনি বলছেন দিল্লিতে আছি। ওঁর ছেলে বলছে  উনি হারিয়ে গিয়েছেন। কোনটা ঠিক? উনি কেন দিল্লি গিয়েছেন। কার সঙ্গে গিয়েছেন , কার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন তা তিনিই জানেন। বসে বসে এক ঘোঁয়েমি লাগছিল তাই দিল্লি বেড়াতে গিয়েছেন। পুরনো এমপি ছিলেন। তাই যেতেই পারেন। এই গতিতে যদি যাত্রা শুরু হয় তাহলে কাথায় তাথামবে তা বলা মুসকিল। 

বিরোধী জোট প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, আগে পার্টিটা বাঁচুক তারপর বিরোধী জোট। জেলের ভেতরে রয়েছে ৩-৪ জন বিধায়ক। মুকুল রায় দিল্লি যাবে, না বম্বে যাবে, তাঁর ব্যাপার। তাঁর ছেলে নিখোঁজ ডায়েরি করেছে। প্রশাসনের দেখা উচিত। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুকুল রায়ের ‘নিখোঁজ’ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেন, ‘কে দিল্লি যাবে, না বম্বে যাবে, না পাঞ্জাব যাবে, সেটা একদমই তাঁর নিজস্ব অধিকার। উনি তো বিজেপিতে মিলে আছেন। ওনার ছেলে একটা মিসিং ডায়েরি করেছে। এখন কেউ যদি ডায়েরি করে যে আমার বাবা মিসিং, এজেন্সি ধরে নিয়ে গিয়েছে, তাহলে প্রশাসনের যা কাজ, তদন্ত করে দেখা, সত্যিই মিসিং কিনা, সে ভালো আছে কিনা, তাঁকে উদ্ধার করা। সেসব প্রশাসন প্রশাসনের মতো করবে। এটা একদমই তাঁদের ব্যক্তিগত পছন্দ।’

পাশাপাশি, মমতা এও বলেন যে, ‘হয়তো কেউ তাঁকে হুমকি দিয়েছিল, জোর দিয়েছিল!’ সেইসঙ্গে মুকুল রায় বিজেপির বিধায়ক বলেও শিলমোহর দেন মমতা। বলেন, ‘কিন্তু ও তো বিজেপিরই বিধায়ক।’ প্রসঙ্গত, মুকুল রায় এদিন দাবি করেছেন, তিনি কখনও তৃণমূলে যোগদান করেননি বলে! যে মন্তব্যে প্রেক্ষিতে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে বা পালটা কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি মুখ্যমন্ত্রী। বরং উপেক্ষার সুরে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘এটা খুব স্মল ম্যাটার, সো উই ডোন্ট কেয়ার। বেটার টু ইগনোর।’ অর্থাৎ যার তর্জমা করলে দাঁড়ায়, মুকুল খুব ছোট ব্যাপার। অত পাত্তা দেওয়ার দরকার নেই। উপেক্ষা করুন।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *