স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর বালাভুত গুয়ার ভিটা এলাকার ২০৭ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, বালাভুত গ্রাম পঞ্চায়েতের সহায়িকা বৃহস্পতিবার সকালে সেন্টার খুলে এক বস্তা চাল টোটোতে করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সেই সময় স্থানীয়রা টোটো সমেত চালের বস্তা আটক করেন এবং সহায়িকাকে ঘরের ভিতরে আটকে রেখে তালা মেরে দেন।
তবে সহায়িকা অবশ্য দাবি করেন, চালের বস্তা নিকটবর্তী রাজারকুটি সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে যোগান দেওয়ার জন্য। পরবর্তীতে এই সেন্টারের চাল আবার ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এ বিষয়ে নাকি অনেকদিন আগে দুই সেন্টারের অঙ্গনওয়াড়ি দায়িত্বপ্রাপ্ত দিদিমণির সঙ্গে কথা হয়েছে বলে দাবি করেন সহায়িকা।
পালটা স্থানীয়দের অভিযোগ, এদিন এক সেন্টারের চাল অন্য সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার সময় কোনও লিখিত কাগজ দেখানো হয়নি। তাঁরা জানান, দিদিমণির নির্দেশ না থাকলে ওই চাল কী ভাবে অন্য সেন্টারে যায়। সেই কারণেই তাঁরা ওই চাল সরবরাহ আটকে দিয়েছে। লিখিত প্রমাণ ছাড়া চাল নিয়ে যেতে আপত্তি প্রকাশ করেন স্থানীয়রা।
তবে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত দিদিমণি রিজিয়া খাতুন বলছেন, অনেক দিন আগে কথা হয়েছে। আজকে কোনও কথা হয়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, এর আগেও গত প্রায় ১০ থেকে ১২ দিন আগে ৩ বস্তা চাল সমেত ধরা পড়ে ভুল স্বীকার করা হয়। এর আগেও দোকানে বিক্রির সময় ধরা পড়লে সতর্ক করা হয় সহায়িকাকে।
আজ টোটোতে করে চাল নিয়ে যাওয়ার পথে স্থানীয়রা আটক করেন। অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত মহিলার নামে বিস্তর অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে তুফানগঞ্জ -১ ব্লক আইসিডিএস দফতর।
তবে গোটা ঘটনায় এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট আইসিডিএস দফতরের সঙ্গেও কথা বলা হবে বলে জানানো হয় পুলিশের তরফে।