বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ইডির দপ্তরে উপস্থিত হন ওই বৃদ্ধ দম্পতি। সূত্রের খবর, অবৈধ আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে নিজের একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পাশাপাশি, মা-বাবার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও ব্যবহার করেছিলেন অয়ন। অয়নের বাবা সদানন্দ শীলের দু’টি এবং মা অমিতা শীলের একটি অ্যাকাউন্ট অয়ন ব্যবহার করতেন বলে ইডি সূত্রের খবর।
অয়ন যে মা-বাবার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে বিপুল অঙ্কের টাকা লেনদেন করতেন, সে কথা আদালতেও এর আগে জানিয়েছিল ইডি। এরপর নগর দায়রা আদালতের বিচারক ইডির আইনজীবীর কাছে জানতে চান, কেন এখনও অয়নের বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না। সেই সূত্রে সদানন্দ এবং অমিতাকে ডেকে পাঠায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
তবে এখানেই শেষ নয়, আগামী শুক্রবার তলব করা হয়েছে তাঁর স্ত্রী কাকলি শীল এবং ছেলে অভিষেক শীলকেও। অয়নের ছেলের নামে একাধিক পেট্রল পাম্প ও স্ত্রী-র নামে সম্পত্তি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে। চাকরির বিক্রির টাকাই কি ঢুকেছে এই পেট্রল পাম্প ও ব্যবসায়? তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
সূত্রের খবর, বর্তমানে শীল পরিবার ইডির স্ক্যানারে রয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা মনে করছেন, নিয়োগ দুর্নীতির যে টাকা অয়ন শীল নিয়েছিলেন, সেই টাকার একটা মোটা অংশ তাঁর পরিবারের নামে বিভিন্ন ব্যাঙ্কে রাখা হয়েছে। সেই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর পেতে এ দিন ডাকা হয় অয়নের বাবা-মা-কে।
এর পাশাপাশি রিয়েল এস্টেট ব্যবসা থেকে শুরু করে সিনেমা প্রযোজনা, কোথায় কোথায়দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করেছেন অয়ন, তা নিয়েও তদন্ত চলছে পুরোদমে। এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আতসকাচের নীচে এসে গিয়েছে অয়ন শীলের লকারও। ইডি সূত্রের খবর, নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত অয়ন শীল ছাড়াও তাঁর স্ত্রী কাকলি শীলের নামে বেশ কয়েকটি লকার রয়েছে।
সেই সম্পর্কে জানতে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থও হয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। অয়নের কাছ থেকে পুর নিয়োগেরও নানা নথি পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছে ইডি। সেই তদন্তেও এবার গতি আনছেন তাঁরা।