শহরের যত্রতত্র গাড়ি বা বাইক পার্কিং করার জন্য যানজটও লেগে যায়। এবার বাঁকুড়া শহরের এই পার্কিং সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হল প্রশাসন। অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) প্রলয় রায় চৌধুরী, সদর মহকুমাশাসক সুশান্ত কুমার ভক্ত, বাঁকুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান অলকা সেন মজুমদার সহ অন্যান্যরা বাঁকুড়া শহরের প্রানকেন্দ্র মাচানতলায় পার্কিংয়ের জন্য একটি প্রস্তাবিত জায়গা ঘুরে দেখেন।
প্রশাসন সূত্রে খবর, বাঁকুড়া শহরের উপর প্রতিদিন চাপ বাড়ছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ শহরে আসেন। ফলে গাড়ি পার্ক করার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়, তৈরি হয় যানজট। আর সেই কারণেই শহরের সরকারি জমিতে একটি বহুতল গড়ে মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি হবে, আর যার নিচতলাটি সম্পূর্ণভাবে গাড়ি পার্কিংয়ের কাজে ব্যবহার করা হবে।
এই বিষয়ে অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) প্রলয় রায় চৌধুরী বলেন, “জেলাশাসকের নির্দেশেই এই জায়গা পরিদর্শন করা হল। এখন এটি শুধু পরিকল্পনার জায়গায় রয়েছে। ধীরে ধীরে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করার দিকে এগোনো হবে।” এবার এই বিষয়ে তিনি জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট জমা দেবেন বলে জানান।
বাঁকুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান অলকা সেন মজুমদার জানান, “প্রস্তাবিত ওই জায়গাতে কয়েকটি পরিবার বাস করে। এদের মধ্যে একটি পরিবার ছাড়া সবার অন্যত্র বাড়ি আছে। তাঁদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা বলা হয়েছে। ঈদের পরেই ওই পরিবার গুলি এই জায়গা থেকে সরে যাবেন।”
বাঁকুড়া শহরে জনঘনত্ব যথেষ্ট রয়েছে। এই শহরের অন্যতম মূল সমস্যা হচ্ছে যানজট। আর এই যানজটের মূল কারণ যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং। বিভিন্ন জায়গা দখল অবৈধভাবে পার্কিং করা হচ্ছে। আর যত্রতত্র গাড়ি পার্কিংয়ের ফলে দুর্ঘটনার সংখ্যাও অনেক বাড়ছে। চরম সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে শহরের বাসিন্দাদের।
এমনকি বাঁকুড়া পুরসভার মধ্যেও যেখানে সেখানে গাড়ি পার্কিংয়ের ফলে দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হচ্ছে পুর কর্মীদেরও। এক সাধারণ মানুষ এই বিষয়ে বলেন, “শহরে গাড়ি পার্কিংয়ের যথেষ্ট সমস্যা রয়েছে। শহরে যথাযথ পার্কিং প্লট নেই। তাই এত সমস্যা।”