জরুরি পরিষেবা পেতে প্রশাসনিক ভবনের ওপর নির্ভরশীল সবাই। এবার খোদ মহকুমা শাসকের দফতরে পানীয় জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে। জল পাওয়া যাচ্ছে না। দফতরের এক কর্মী বলেছেন, “এই সমস্যা বেশ কিছুদিন ধরে শুরু হয়েছে। জলের জন্য হাহাকার পড়ে গিয়েছে। সরকারি দফতর গুলিতেই এই অবস্থা, তাহলে ভাবলেই ভয় লাগছে যে আশেপাশের গ্রামগুলিতে জলের জন্য মানুষ কতটা কষ্ট করছেন।”
ইতিমধ্যেই জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর, বিদ্যুৎ দফতরে বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের এনে মাটির ভূগর্ভস্থ জল তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। যদিও বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন সবাই। ইতিমধ্যেই খনন কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু জলের স্তর এতটাই নিচে নেমে গিয়েছে যে জল তোলা যাচ্ছে না।
যার কারণে পানীয় জলের সাপ্লাই বন্ধ হওয়ায় ফলে বিপাকে পড়েছেন দফতরের আধিকারিক থেকে কর্মীরা, প্রতিদিন আসা কয়েকশো উপভোক্তারা। রাজ্য জুড়ে যেভাবে তাপপ্রবাহ চলছে ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু করে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতে একই তাপমাত্রা পাল্লা দিচ্ছে। প্রশাসনিক আধিকারিকরা এবার রীতিমতো শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
যেভাবে একদিকে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ চলছে, অন্যদিকে ভূগর্ভস্থ জল নেমে যাওয়ায় আগামি দিনে পানীয় জলের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই কারণে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক ডাকা হয়েছে। বসিরহাটের মহকুমা শাসক মৌসম মুখার্জি বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বিশেষ করে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক করবেন। আগামি দিনে যাতে পানীয় জলের সমস্যা না হয় তার জন্য চূড়ান্ত একটা রূপরেখা তৈরি হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই যাদবপুর ইউনিভার্সিটির বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আধিকারিকরা সুন্দরবনে গিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। অদূর ভবিষ্যতে পানীয় জলের সমস্যা হতে পারে যেভাবে জলস্তর মাটির নিচে নেমে যাচ্ছে। এর জন্য কোনও বিকল্প ব্যবস্থা দ্রুত করা উচিত বলে জানিয়েছেন তাঁরা।