শেষে মানুষজন চিৎকার শুরু করলে মন্দিরে না ঢুকে আশপাশে ঘুরতে থাকে হাতিটি। পরে বনকর্মীরা গিয়ে হাতিটিকে আবার জঙ্গলে ফেরত পাঠান। জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে শিলিগুড়ি মহকুমার বাগডোগরার কাছে কেষ্টপুরের চৌপুখরিয়া গ্রামের মধ্যে একটি হাতি ঢুকে পড়ে।
এরপরই হাতি দেখে ছুটোছুটি শুরু হয়ে যায় গ্রামে। জানা যায়, গ্রামে সেই সময় এক জায়গায় কালিপুজো চলছিল। পুজোয় প্যান্ডেল বানানো হয়েছিল ও আলো লাগানো হয়েছিল। তা দেখে হাতিটি সেখানে ঢোকার চেষ্টা করে।
সেই সময় সেখানকার মানুষজন চিৎকার শুরু করলে হাতিটি ফিরে যায়। এরপর গ্রামের রাস্তা দিয়ে হাতিটি বেশ কিছুক্ষণ হেঁটে যায়। হাতির পিছনে ছুটতে থাকেন গ্রামের মানুষজন। বাগডোগরা রেঞ্জের বনকর্মীরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান।
বনকর্মীরা বাজি ফাটিয়ে জঙ্গলে ফেরত পাঠান হাতিটিকে। এদিকে গ্রামের বাসিন্দারা জানান, হাতিটি মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় খাবারের খোঁজে ঢুকে পড়ে। মঙ্গলবার সন্ন্যাসী এলাকায় ঢুকে পড়েছিল হাতিটি।
খাবারের গন্ধেই বুধবার রাতে হাতিটি গ্রামে ঢুকেছিল বলে বনকর্মীদের অনুমান। এক গ্রামবাসী বলেন, “মনে হচ্ছে জঙ্গল এলাকা থেকে হাতিটি আলো দেখতে পায়, আর আওয়াজ শুনতে পায়। আর সেই কারণেই খাবার পাওয়া যাবে ভেবে গ্রামের দিকে চলে আসে। এসেই সতান হাজির হয় মন্দিরের সামনে। ব্যস লোকজন ভয় পেয়ে ছুটোছুটি ও চিৎকার শুরু করলে হাতিটি মন্দিরে না ঢুকে গ্রামের রাস্তা ধরে হাঁটতে থাকে। তখনই বন দফতরের কর্মীরা এসে আবার জঙ্গলে ফেরত পাঠান হাতিটিকে।”
এর আগেও বাগডোগরায় সেন্ট্রাল বস্তিতেপিকনিক চলাকালীন হাতিটি এসে হাজির হয়। হাতি দেখে কোনওমতে সেখান থেকে পালিয়ে প্রাণ বাঁচান পিকনিকে আসা মানুষ। পরে বন দফতর জঙ্গলের ভিতর পিকনিক যাতে আর না হয় সেদিকে নজর দেয়।
তবে মাঝেমধ্যেই হাতিটি জঙ্গল ছেড়ে খাবারের খোঁজে জঙ্গল লাগোয়া লোকালয়গুলিতে ঢুকে পড়ছে বলে খবর। যদিও এখনও অবধি বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে বারবার হাতির হানায় আতঙ্কে রয়েছেন বাগডোগরা জঙ্গল লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারা। বন কর্মীদের নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে নলে জানান বন দফতরের আধিকারিকেরা। আপাতত হাতিটি জঙ্গলে ঢুকে পড়ায় স্বস্তিতে চৌপুখরিয়ার গ্রামের মানুষ।