বর্তমানে চাকরির মন্দা বাজার। দিন দিন বাড়ছে বেকারত্বের সংখ্যা। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রতারণা চক্রের জাল বিছিয়ে চলছিল ভুয়ো রিক্রুটমেন্ট এজেন্সির অফিস। টেকনাে সিটি থানা এলাকার এক বিল্ডিং থেকে চালানো হত ফিনট্রেড টেকনোলজিস প্রাইভেট লিমিটেড নামে এই সেন্টারটি। ভালো চাকরির লোভে প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়েছিলেন একাধিক প্রার্থী। পরে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে পুলিশের দ্বারস্থ হন একাধিক প্রতারিত ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত কোম্পানির কনসালটেন্ট অধীর কুমার (৩৮), ম্যানেজার মহম্মদ সোহেল (২৮) সহ মোট ১৮ জন ভুয়ো রিক্রুটমেন্ট এজেন্সির কর্মীকে গ্রেফতার করে টেকনো সিটি থানার পুলিশ। অফিস থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় একাধিক কম্পিউটার সহ অন্যান্য মেশিনপত্র।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথমে ওই ভুয়ো এজেন্সি থেকে চাকরিপ্রার্থীদের মোটা বেতনের ভালো কোম্পানিতে চাকরির অফার দেওয়া হত। এরপর বাছাই প্রার্থীদের ‘ওয়ার্ক ইন্ট্রিগেটেড লার্নিং প্রোগ্রাম’ নামে একটি প্রশিক্ষণ ক্লাসে তাঁদের অন্তর্ভুক্তি করানো হতো। রেজিস্ট্রেশনের নামে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে চাওয়া হত ব্যক্তিগত নথির কপি।
প্রার্থীদের অজান্তে স্বাক্ষর নকল করে, নথি কাজে লাগিয়ে, চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে ভুল বুঝিয়ে ওটিপি সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য চেয়ে নেওয়া হত। ভবিষ্যতে ওই লোনের টাকা প্রার্থীদের অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাবে বলে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। তবে মিলত না কোনও চাকরি বা মিললেও পাওয়া যেত কম বেতনের সামান্য কোনও চাকরি।
বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট অফিসে অভিযান চালায় টেকনো সিটি থানার পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই কোম্পানির আরও কোনও শাখা রয়েছে কিনা, কোম্পানির প্রতারণা চক্রের সঙ্গে আরও কোনও অফিসের যোগসাজশ আছে কিনা সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ধৃতদের আজ, বারাসত আদালতে পেশ করা হয়।