Jiban Krishna Saha: নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত জীবন ‘স্যার’! কাণ্ডকারখানা শুনে বিশ্বাসই করতে পারছে না স্কুল – jiban krishna saha school students and colleagues still can not believe that he is an accused in recruitment scam


পানাপুকুরে মোবাইল, সিঁদুরের কৌটোয় মেমোরি কার্ড। ৬৬ ঘণ্টার নাটকীয় ও রোমহর্ষক অনুসন্ধান শেষে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। তাঁর বিরুদ্ধে মিলেছে নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার একাধিক তথ্য। পেশায় শিক্ষক জীবনকৃষ্ণের আয় বহির্ভূত সম্পত্তির হিসেব দেখে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। এত তথ্য প্রমাণ দেখেও জীবন স্যার দুর্নীতিতে জড়়িত বিশ্বাসই করতে পারছেন না বিধায়কের স্কুলে শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা।
জীবনকৃষ্ণ সাহার গ্রেফতারির তথ্য সামনে আসতেই কার্যত হতবাক তার স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সহকর্মীরা। বীরভূমের নানুরের দেবগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০১২ সাল থেকে শিক্ষকতা করছেন জীবনকৃষ্ণ সাহা । পদত্যাগ না করায় এখনও তিনি শিক্ষকের পদে বহাল রয়েছেন। জানা গিয়েছে, এই স্কুলে রয়েছে প্রায় সাড়ে চারশো জন ছাত্র। এছাড়াও মোট শিক্ষকের সংখ্যা ১২ জন।

Jiban Krishna Saha: সিঁদুরে মাখা মেমরি কার্ড থেকে বাগানে নিয়োগ নথি! তৃণমূল বিধায়কের লুকোচুরিতে জীবন অতিষ্ঠ CBI আধিকারিকদের

স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান, প্রায় ১১ বছর ধরে এই স্কুলে শিক্ষকতা করলেও কখনও তিনি কোন সহকর্মী বা ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেননি। স্বাভাবিকভাবেই একটা সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছিল সকলের সঙ্গে। বরং শিক্ষক শিক্ষিকাদের যেকোনও বিপদে আপদেও ছুটে আসতেন জীবনকৃষ্ণ । কোনওদিন তাঁকে নিয়ে কোন অভিযোগ শুনতে হয়নি তার সহকর্মী বা ছাত্রদের অভিভাবকদের কাছ থেকে। উল্টে তার প্রশংসায় পঞ্চমুখই ছিলেন সবাই । স্কুলেও আসতে নিয়মিত এবং পড়াতেনও ভালো। পড়ুয়াদের খুব পছন্দের স্যারও ছিলেন তিনি। জীবনকৃষ্ণ প্রসঙ্গে ঠিক এমন কথাই বলছেন নানুরের দেবগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কমলকৃষ্ণ ঘোষ । স্বাভাবিকভাবেই হঠাৎই নিয়োগ দুর্নীতিতে তার নাম নাম জড়ানোই কার্যত হতবাক স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও তার সহকর্মীরা।

Jiban Krishna Saha TMC MLA: বাবাকে জেল খাটানোর হুমকি! ছেলে জীবনকৃষ্ণ গ্রেফতার হতেই স্বস্তিতে বাবা বিশ্বনাথ

নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে জেরা চলাকালীন অভিনব কাণ্ডে শোরগোল। সিবিআই আধিকারিকদের হেফাজত থেকে দুটি ফোন ছিনিয়ে পানাপুকুরে ফেলে দেন। সেই ফোন উদ্ধারে কালঘাম ছুটে যায় সিবিআইয়ের। উল্লেখ্য, গ্রেফতারি থেকে বাঁচতে জীবনকৃষ্ণের ঠার্কুদাও প্রমাণ লোপাটে পুকুরে ফেলে দিয়েছেন গয়না।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *