ত্রিস্তর পঞ্চায়েত সংস্থাগুলির কর্মী ও অবসরপ্রাপ্ত পেনশন প্রাপকরাও রাজ্য সরকারি কর্মীদের স্বাস্থ্য প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। তৃণমূল কংগ্রেস প্রভাবিত সরকারি কর্মীদের সংগঠন রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন এই বিষয়টি নিয়ে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিল বলেও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, জেলা পরিষদ, মহকুমা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি, গ্রাম পঞ্চায়েতে ফেডারেশনের ৩০ হাজার কর্মী রয়েছেন। এর বাইরেও অবসরপ্রাপ্ত পেনশন প্রাপক আছেন ২০ হাজার জন। সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে স্বাস্থ্য প্রকল্পের আওতায় আনার ঘোষণা করা হয়েছে।
এতদিন এই সরকারি কর্মীরা এবং অবসরপ্রাপ্তরা বেতনের সঙ্গে চিকিৎসা খরচ বাবদ মাসিক একটি ভাতা পেতেন। তার জায়গায় অন্যান্য সরকারি কর্মচারীদের ন্যায় স্বাস্থ্য প্রকল্পের সুবিধা পাবেন বলে জানানো হয়েছে।
রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য প্রকল্প অনুযায়ী, সরকারি স্বাস্থ্য প্রকল্পে নথিভুক্ত বেসরকারি হাসপাতাল বা কোনও ক্লিনিকে চিকিৎসা করানো হলে ক্যাশলেস সুবিধা মেলে। এমনকি চিকিৎসার খরচ যদি ক্যাশলেসের নির্ধারিত সীমার থেকে বেশি হয়, তাহলেও বিল পেশ করে তা পাওয়া যায়। সেই সমস্ত সুযোগ সুবিধা পেতে চলেছেন এবার রাজ্যের ত্রি স্তরীয় পঞ্চায়েত কর্মীরাও।
দীর্ঘসময় ধরেই ফেডারেশনের আবেদন ছিল পঞ্চায়েত স্তরের কর্মীদের এই সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার ব্যাপারে। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পঞ্চায়েতের কর্মচারীদের হেলথ স্কিমে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ফেডারেশনের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে অনুরোধ এসেছিল। সেই কারণেই এই আবেদন মঞ্জুর করা হল বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
বিষয়টি নিয়ে খুশি পঞ্চায়েত স্তরের কর্মচারীদের ফেডারেশনও। কর্মচারী ফেডারেশনের নেতা মনোজ চক্রবর্তী এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। পাশাপাশি, আগামী দিনে সরকারি অফিসে চুক্তিতে নিযুক্ত কর্মীদের যাতে এই সুযোগের আওতায় আনার ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানিয়েছেন। এমনিতেই মহার্ঘ্য ভাতা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। তবে এর মাঝে পঞ্চায়েত স্তরের কর্মচারীদের জন্য এই ব্যবস্থা অনেকটা সুবিধা দেবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।