যদিও বাবার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তাঁর ছেলে শুভ্রাংশু রায়। এমনকী, এয়ারপোর্ট থানার দ্বারস্থও হয়েছেন শুভ্রাংশু । তাঁর দাবি ছিল, বাবার মানসিক অসুস্থতার সুযোগ নিচ্ছেন বিরোধীরা। এই নিয়ে যখন বঙ্গ রাজনীতিতে জলঘোলা হচ্ছে সেই সময় বাবার শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করলেন ছেলে শুভ্রাংশু।
সম্প্রতি অতীতে তিনি একটি সাক্ষাৎকারে দাবি করেছিলেন, মুকুল রায়ের শারীরিক অসুস্থতার জন্য তাঁকে প্রাপ্তবয়স্কদের হাগিস পরিয়ে রাখা হয়। যদিও সেই সমস্যা এখন মিটেছে বলেই জানান শুভ্রাংশু। বৃহস্পতিবার ফোনে তিনি এই সময় ডিজিটালকে জানান, মুকুল রায়ের শেষ অপারেশনের পর তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ। হাঁটাচলায় জড়তা রয়েছে। কিন্তু, মানসিকভাবে তিনি একেবারেই সুস্থ নয়।
তাঁর সংযোজন, “বাবাকে ইনসুলিন ছাড়া প্রতিদিন ১৮টি ওষুধ দিতে হয়। বাবার সঙ্গে শেষ কথা হয়েছে পরশু রাতে। সেক্ষেত্রে কে তাঁকে ওষুধ দিচ্ছেন, তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছি। বাবা কী করবেন তা তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। কিন্তু, একজন মানুষ মানসিকভাবে সুস্থ থাকলেই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। বাবা মানসিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ নন। তিনি কথা বলার সময় গুলিয়েও ফেলছেন শব্দ। সাক্ষাৎকারে বলছেন দিল্লির MP, রাজ্য থেকে বাম-কংগ্রেসকে সরাতে হবে। এই কথাগুলিতেই তা স্পষ্ট হয়ে যায়।”
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ২৫ সেপ্টেম্বর তিনি তৃণমূল থেকে পদত্যাগ করেন। এরপরেই তিনি BJP-তে যোগদান করেন। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে BJP-র বঙ্গে ১৯টি আসন পাওয়ার নেপথ্যে মুকুল ফ্যাক্টর কাজ করছিল, মতামত ছিল রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
Dilip Ghosh News: ‘প্রত্যেক পার্টিই চেষ্টা করে মানুষকে ভুলিয়ে ভালিয়ে ক্ষমতায় আসার’
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে BJP-র টিকিটে ভোটে লড়েন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তথা তৃণমূল প্রার্থী কৌশানীকে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, ফের একবার বঙ্গ রাজনীতির হিসেব উলোট পালট করে তিনি তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করেন। ‘ঘরে ফেরেন’ মুকুল রায়ের ছেলে শুভ্রাংশু রায়ও।
কিন্তু, গত এক বছর ধরে সেভাবে রাজনীতির ময়দানে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যায়নি মুকুল রায়কে। স্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি তাঁর একটি অপারেশনও হয়। এরপর সেভাবে বড় কোনও রাজনৈতিক সমাবেশে দেখা যায়নি তাঁকে। নতুন করে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।