ঠিক কী নিয়ে বিতর্ক? টুইটে কী লিখেছেন বিবেক অগ্নিহোত্রী?
এই পরিচালক লিখেছেন, “কলকাতা অ্যাটেনশন। ‘আর্বান নক্সাল’ -এর বই স্বাক্ষর কর্মসূচি কোয়েস্ট মল থেকে সাউথ সিটি মলের স্টারমার্ক বুক শপে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। আমাকে বলা হয়েছে কোয়েস্ট মল সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় অবস্থিত। তাই সেই জায়গাটি আমার জন্য সুরক্ষিত নয়।” তাঁর সংযোজন, “দ্য ট্র্যাজিডি অফ মর্ডান বেঙ্গল।”
তাঁর এই টুইটের পর বঙ্গ রাজনীতিতে ‘লু’ বইছে। বিবেক অগ্নিহোত্রীর মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্রকুণাল ঘোষ। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, “ডাহা কুৎসা করা হচ্ছে। সস্তায় জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য এই সমস্ত কথা বলছেন তিনি। কোয়েস্ট মলে পৃথিবীর সমস্ত ধর্মের মানুষ যাচ্ছেন। সমস্ত ধরনের ইভেন্ট হচ্ছে সেখানে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে একটি ভ্যেনুকে নিয়ে এই ধরনের মন্তব্য অত্যন্ত আপত্তিকর।”
বিবেক অগ্নিহোত্রীকে আক্রমণ করে কুণালের সংযোজন, “আগেগুজরাট ফাইলস-টা করুন। গুজরাটে গিয়ে তা উদ্বোধন করুন। তারপর বড় বড় কথা বলবেন।”
অন্যদিকে, বিবেকের পাশে দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন রাজ্য BJP-র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, “আমরা জানি পশ্চিমবঙ্গ ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সর্বধর্ম সমন্বয়ের স্বর্গরাজ্য। সেক্ষেত্রে এই বাধাদান কেন! কারণ পশ্চিমবঙ্গে এখন যে সরকার রয়েছে তারা বিভাজনের রাজনীতি করে। আমরা এভাবে হিন্দু-মুসলমান-হরিজনের নামে সমাজকে বিভক্ত করে দেখতে অভ্যস্ত নই। আমরা মনে করি দেশ একটাই-ভারতবর্ষ। হিন্দু কোনও ধর্মবাচক শব্দ নয়, জাতিবাচক শব্দ। বহুত্ববাদের দেশে এই ধরনের ঘটনা অভিপ্রেত নয়। নিঃসন্দেহে তা সরকারের দুর্বলতা। এই ঘটনায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কাছে প্রশাসনিক আত্মসমর্পণ।”
এদিকে পুরো ঘটনায়কোয়েস্ট মলকর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। যদিও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি শপিং মল কর্তৃপক্ষ। প্রশাসনিক তরফে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু, বিবেক অগ্নিহোত্রীর এই টুইটে নতুন করে বঙ্গ রাজনীতিতে তুঙ্গে উঠেছে তরজা।