সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এই নারায়ণ খারকে মৃত রাজু ঝা’র এক সময়ের ব্যবসায়িক সঙ্গী। গতকাল বুধবার রাত ৮ টা নাগাদ এই অভিযান শুরু হয়। খুনের তদন্তকারী সিট-এর পুলিশ আধিকারিকরা এসে পৌঁছন ঘটনাস্থলে। প্রায় ১০ গাড়ি পুলিশ নারায়ণ খারকের অফিস ঘেরাও করে রাখে।
যদিও সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সেই সময় ওই অফিসে কেউ ছিলেন না। উল্লেখ্য, শক্তিগড়ে রাজু ঝা খুনের ঘটনার ১৯ দিনের মাথায় পুলিশ খুনের ঘটনায় যুক্ত সন্দেহে একজনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম অভিজিৎ মণ্ডল।
এই অভিজিৎয়ের সম্পর্কে প্রচুর তথ্য জোগার করে ও তাঁর মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করেই তাঁকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে বিশেষ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। অভিজিৎকে বুধবার দুর্গাপুর থেকে গ্রেফতার করে সিট। তারপর ফের সিটি সেন্টারের অফিসে তদন্তে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। ধৃত অভিজিৎ মণ্ডলকেও সঙ্গে নিয়ে আসে পুলিশ।
অফিস কেউ না খোলায় আর অফিসে কেউ না থাকায় শেষমেশ পুলিশ অফিসের প্রতিটি গেট সিল করে দেয়। এই বিষয়ে পার্শ্ববর্তী এক অফিসের কর্মী জানান, “এদিন রাত ৮টা নাগাদ প্রচুর পুলিশ কর্মী এই অফিসের সামনে আসেন। কম করে ১০ টি গাড়িতে পুলিশ এসেছিল। দেখেই বোঝা যাচ্ছিল যে এর মধ্যে বেশ অনেকেই পুলিশের বড় অফিসার। তাঁরা এসে নারায়ণ খারকের অফিসের ব্যাপারে খোঁজ খবর করেন ও ওই অফিসে ঢোকার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেই সময় ওই অফিসে কোনও লোক ছিল না। তাই পুলিশ অফিস সিল করে দিয়ে গিয়েছে। আশেপাশের অফিসগুলিতে ও সেখানকার ব্যক্তিদের থেকে পুলিশ নারায়ণ খারকে ও তাঁর অফিস সম্পর্কে কিছু তথ্য নেয়ার চেষ্টা করেন।”
এরই মধ্যে একটি সূত্রের আবার দাবি, ধৃত অভিজিৎ মণ্ডল নাকি ব্যবসায়ী নারায়ণ খারকের গাড়ির চালক। যদিও এই সূত্রের কোনও সত্যতা মেলেনি। ব্যবসায়ী নারায়ণ খারকেও একথাকে মান্যতা দিতে রাজি হননি বলেই জানা গিয়েছে। এদিকে,প্রায় ১৯ দিন বাদে ফের এই হত্যাকাণ্ডের জট খুলতেশুরু করায় নড়েচড়ে বসেছে শিল্পাঞ্চলের ব্যবসায়ী মহল।