ইডির দাবি, শান্তনুর মোট ১৫টি সম্পত্তির হদিশ এখনও পর্যন্ত পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া দুটি কোম্পানিরও খোঁজ মিলেছে। এরমধ্যে একটি মেসার্স দীপ ডেভলপার্স জেনারেল অর্ডার সাপ্লায়ার, অন্যটি মেসার্স লোটাস কনস্ট্রাকশনস।
প্রথম কোম্পানিতে স্ত্রীর সঙ্গে শান্তনুর যৌথ পার্টনারশিপ ছিল বলে ইডির দাবি। কিন্তু লোটাস কনস্ট্রাকশনসটি ছিল বেনামি। ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, “এই দুটি কোম্পানিতেই নিয়োগ দুর্নীতির টাকা লাগানো হয়েছিল। এর মধ্যে দ্বিতীয় কোম্পানিতে প্রচুর কালো টাকা সাদা করা হয়।”
যদিও এ দিন ঘনিষ্ঠমহলে শান্তনু দাবি করেন, যতটা ইডি বা সংবাদমাধ্যম দাবি করছে, তাঁর মোটেও ততটা সম্পত্তি নেই। ব্যক্তিগত চরিত্র হনন করতেই এমন কথা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। আদালতে শান্তনুর আইনজীবী বলেন, “ইডির হেফাজতে রাখার আর কোনও কারণ নেই। তদন্তেও কোনও অগ্রগতি হয়নি। তাই এ সব বলতে হচ্ছে।”
তবে ইডি সূত্রের দাবি, এই পদ্মের পাঁকেই লুকিয়ে রয়েছে নিয়োগ দুর্নীতির টাকার হদিশ। অনেক ক্ষেত্রে নগদে টাকা লেনদেন হয়েছিল লোটাস কনস্ট্রাকশনের মাধ্যমে। সেই টাকা রাজারহাট, নিউটাউন, সোনারপুর-রাজপুর এলাকায় বহুতল নির্মাণের কাজে ব্যবহার করা হয়।