বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশে জানিয়েছিলেন, সুবীরেশকে বলতে হবে, কাদের নির্দেশে তিনি এসএসসি’র পরীক্ষায় বিভিন্ন প্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বরে অদলবদল করেছিলেন। যদি সে সব নাম না বলেন, তা হলে ধরে নিতে হবে সুবীরেশই এই অদলবদল, কারচুপির নায়ক। এই অদলবদল, কারচুপিতে যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত, তাঁরা সুবীরেশের থেকে যাবতীয় ক্ষতিপূরণ আদায় করতেও পারবেন।
সিবিআই মামলায় সুবীরেশ যতক্ষণ না বেকসুর খালাস হচ্ছেন, ততক্ষণ তিনি তাঁর মাস্টার্স ও ডক্টরেট ডিগ্রি ব্যবহার করতে পারবেন না বলে রায় দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এসএসসি’র মাধ্যমে স্কুলে-স্কুলে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগে সুবীরেশের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের পর তাঁকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ছিল, “প্রয়োজনে সুবীরেশকে নিরাপত্তাও দেওয়া হবে। যদি তিনি কার নির্দেশে গোটা কাজ করেছিলেন, তা সিবিআইকে জানান।” তার পরেও সুবীরেশ কারও নাম করেননি।
এর পরেই তাঁর ডিগ্রি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছিলেন সুবীরেশ। বুধবার সেই মামলাতেই সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এ দিনইমুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকেকারও নাম না করে বলেন, “আমরা আদালতকে সব সময়ে শ্রদ্ধা করি। সব রায় মেনেও চলি। তার পরেও আমাদের ভাগ্য খারাপ। বিজেপির জন্যে অনেক যুবক-যুবতীর চাকরি গিয়েছে। কখনও কখনও এমন নির্দেশ আমাদের মানতে হয়েছে। আমি আগেও বলেছি, আজ আবার বলছি, কারও চাকরি খাওয়া উচিত নয়। কোনও ভুল হয়ে থাকলে তা সংশোধনের সুযোগ দেওয়া উচিত। তা না করেই বলা হচ্ছে, দু’মিনিটের মধ্যে অমুককে গ্রেপ্তার করে নিয়ে এসো। তিন মিনিটের মধ্যে হাজার জনের চাকরি খাও। এ রকমই চলছে!”