অর্দ্ধগ্রাম গ্রামের গোয়াল পাড়ার বাসিন্দা টিঙ্কু গোপ দাবি করে বলেন, “বেশ কয়েক দিন ধরেই তীব্র জল সংকটে ভূগছি আমরা। শুধু পানীয় জল নয়, গ্রামের পুকুরগুলিতেও জল শুকিয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব থেকে প্রশাসনিক দফতরগুলিতে আবেদন নিবেদনেও কোনও কাজ হয়নি। শাসক দলের নেতারা নিজেদের আখের গোছাতেই ব্যস্ত থাকেন, গণ পরিষেবার দিকে তাঁদের কোনও নজর নেই।”
যত দিন না গ্রামে জল সমস্যার সমাধান হবে ততদিন আন্দোলন চলবে বলে তিনি জানান। আর বিক্ষোভ চলাকালীনই বিক্ষোভকারীদের ‘হুমকি’ দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে। অভিযোগের আঙুল তৃণমূল কর্মীদের দিকে। স্থানীয় সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে তৃণমূলের মেজিয়া ব্লক সভাপতি, অর্দ্ধগ্রাম অঞ্চল সভাপতি সহ একাধিক শীর্ষ নেতৃত্বের বাড়ি এই গ্রামেই।
তারপরেও এই গ্রামে তীব্র জলসংকট দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় তাঁদের দায়িত্বশীল ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়দের একাংশ। এক বিক্ষোভকারী মিঠু গোপ বলেন, “আমরা জলের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলাম। সেই সময়েই কিছু তৃণমূল কর্মী এসে আমাদের শাসিয়ে উঠে যেতে বলেন। সেই সময় সঙ্গে ছিলেন কান্তি দত্ত। কিন্তু তিনি কোনও কথা বলেননি।”
এদিকে স্থানীয় BJP নেতা চিত্তরঞ্জন রায় এই বিষয়ে বলেন, “তৃণমূল নেতারা এই গ্রামে স্থায়ী জল সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী নন, তাই মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছেন। আর এই ক্ষোভের কথা বুঝতে পেরেই তৃণমূলের লোকজন মানুষের এই আন্দোলনকে দমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।”
আগামি পঞ্চায়েত নির্বাচনে এর যোগ্য জবাব মানুষ দেবেন বলেও তিনি দাবি করেন। যদিও মেজিয়া ব্লক তৃণমূলের সভাপতি জন্মেঞ্জয় বাউরী এই প্রসঙ্গে বলেন, “গ্রামের জল সমস্যা সমাধানে BDO-র সঙ্গে কথা হয়েছে। চারিদিকে তীব্র গরমে জলের হাহাকার দেখা দিয়েছে। তাই একটু সময় লাগবে কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তবে আমাদের দলের কেউ বিক্ষোভকারীদের হুমকি দেয়নি। এগুলো দলের নামে মিথ্যে অপপ্রচার করা হচ্ছে।”