রাশি রাশি টাকা! নেপথ্যে কি গেমিং অ্যাপ-কাণ্ড?
আমিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, ই-নাগেটস গেমিং অ্যাপ ব্যবহার করে সে গ্রাহকদের তোপ দিত। গার্ডেনরিচের শাহি আস্তাবল গলিতে তাঁর বসবাস ছিল। জানা যায়, প্রথম দিকে একটি কল সেন্টারে কর্মরত ছিলেন আমির। কিন্তু, এরপর ব্যবসায়ী হিসেবে উলকা উত্থান হয় তাঁর।
ই-নাগেটস গেমিং অ্যাপব্যবহার করেই আর্থিক প্রতারণা চালাতেন আমির এবং ফুলে ফেঁপে উঠেছিলেন তিনি, এমনটাই মনে করছিলেন তদন্তকারীরা। ২০১৫ সালে এই গেমিং অ্যাপের ব্যবসা শুরু করেন আমির। কিন্তু, লকডাউনের সময় তা ফুলে ফেঁপে ওঠে বলে দাবি গোয়েন্দাদের।
লকডাউনের সময় সাধারণ মানুষের অবসর এবং আর্থিক প্রয়োজনীয়তার সুযোগ নিয়েছিল আমির, উঠে আসে এমনই তথ্য। টাকা বিনিয়োগ করে বড় অর্থ জয়ের জন্য প্রলোভন দেখানো হত এই গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে। আর এতেই সর্বস্ব হারান অনেকেই।
মোটা অংকের টাকা জেতানোর লোভ দেখানো হত এই গেমিং অ্যাপের গ্রাহকদের। তাঁদের টাকা ঢালার জন্য বলা হত। কিন্তু, সেই বিনিয়োগ ঘুরপথে ঢুকত আমিরের পকেটে, এমনটাই মনে করছিলেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি এই অনলাইন গেমিং-কাণ্ডের তদন্তে নেমে উঠে এসেছিল বিটকয়েন প্রসঙ্গও।
গার্ডেনরিচেউদ্ধার কোটি কোটি টাকা…
উল্লেখ্য, গত বছর শাহি আস্তাবল গলিতে ব্যবসায়ী নাসির খানের বাড়িতে অভিযান চালায় ED। সেখানে একটি ঘরে খাটের তলা থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়-অংকটা ১৭ কোটির বেশি। এই ঘটনায় উঠে আসে আমির খানের নাম। এই বিপুল অর্থের উৎস কী? তা জানার জন্য তদন্তে নামে ED।
অবশেষে পুলিশের জালে গার্ডেনরিচের আমির খান
কিন্তু, আমির খানের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে তাঁকেগাজিয়াবাদথেকে গ্রেফতার করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আমিরের পরিবার বরাবর মধ্যবিত্ত হিসেবেই পরিচিত ছিল। কিন্তু, আমির খানের পোশাক থেকে শুরু করে জীবনযাত্রায় আমূল পরিবর্তন এসেছিল। কীভাবে এই গেমিং অ্যাপ কাজ করত? আর্থিক প্রতারণায় তাঁর ঠিক কী যোগাযোগ ছিল? তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।