সে মতোই বন দফতর হরিণের সাধারণ খাদ্যের পাশাপাশি জলের সঙ্গে যুক্ত করেছেন এই দুই জিনিস। খাদ্য তালিকায় জুড়েছে ORS এবং গ্লুকোজ। জেলায় ইতিমধ্যেই আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে লু সর্তকতা জারি করা হয়েছে। এই প্রচণ্ড গরম ও তাপপ্রবাহের জেরেই কার্যত বাড়ি থেকে বেরোনোই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে সাধারণ মানুষের।
ঠিক একই অবস্থা পশু পাখিদেরও। আর তাই শান্তিনিকেতনের বল্লভপুর জঙ্গলের হরিণদের সুস্থ রাখতে জলের সঙ্গে গ্লুকোজ ও ORS দিচ্ছেন বন দফতরের কর্মীরা।প্রসঙ্গত, বল্লভপুরের এই জঙ্গল রাজ্যের বৃহৎ হরিণ সংরক্ষণ স্থল গুলির মধ্যে অন্যতম।
প্রতিবছর এখানে রাজ্য তথা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হরিণ দেখতে আসেন পর্যটকরা। ১৯৭৭ সালে তৈরি হওয়া এই ডিয়ার পার্ক তৈরী হয়েছে দুশো হেক্টর এলাকা জুড়ে। এই ডিয়ার পার্ক থেকেই প্রতিবছর বন দফতর আয় করে লাখ লাখ টাকা।
বিগত দিনে এখানে আড়াইশোটির বেশি হরিণ থাকলেও সম্প্রতি বক্সা অভয়ারণ্যে দুশোটির বেশি হরিণ পাঠানো হয়েছে। যার ফলে বর্তমানে এখানে হরিণের সংখ্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫টি। তাদেরকে সুস্থ রাখতেই সবুজ ঘাস, ভুট্টাপাতা, ছোলা তো দেওয়া হচ্ছেই। তার সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে গ্লুকোজ ও ORS।
ADFO বীরভূম ডিভিশন সুকান্ত ঘোষ জানান, “হরিণদের সাধারণত যে সমস্ত খাবার দেওয়া হয় সেগুলিই রয়েছে। শুধু জলের সঙ্গে গ্লুকোজ আর ORS দেওয়া হচ্ছে। সেই জন্যই এখনও পর্যন্ত কোনও হরিণ অসুস্থ হয়নি। ডাক্তারদের পরামর্শ মতোই এই কাজ করা হচ্ছে। এরকম তীব্র দাবদাহ মানুষের থেকেও পশু পাখি জন্তুদের শরীরে বেশি প্রভাব ফেলে। সেই কারণেই আগে থেকেই এই সতর্কতা অবলম্বন।”
চিকিৎসকদের পরামর্শে সকালে বল্লভপুর অভয়ারণ্যের হরিণদের ছোলা, ভুট্টা গুঁড়ো, জলের মাধ্যমে ORS খাওয়ানো হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে ভুট্টা পাতা। এছাড়াও হরিণদের শরীর ঠাণ্ডা রাখতে দিনে বেশ কয়েকবার জল পরিবর্তন করা হচ্ছে। ADFO আশা করছেন, আগাম ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য হরিণদের কোনও সমস্যা হবে না।