Bardhaman News : টাকার অভাবে অ্যাম্বুলেন্স জোগাড় করতে না পেরে ট্রেনেই রোগীকে নিয়ে যাত্রা, তারপর… – patient lost life bhatar station due to not getting ambulance for lack of money


West Bengal News : বৃহস্পতিবার এক করুণ ও চূড়ান্ত অমানবিক দৃশ্যের সাক্ষী রইল পূর্ব বর্ধমান জেলা। টাকার অভাবে অ্যাম্বুলেন্স জোগাড় করতে পারেনি রোগীর পরিবার। আর তাই কর্তব্যরত চিকিৎসককে অনেকবার আবেদন নিবেদন করেও মেলেনি ফল, অভিযোগ এমনটাই। এর ফলে ট্রেনে করে বর্ধমান হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার জন্য স্টেশনে নিয়ে আসার পরই মৃত্যু হল রোগীর।

পূর্ব বর্ধমানের ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটেছে। এদিকে এই মৃত্যুর পর অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা না করে ওই রোগীকে কেন বর্ধমান মেডিকেলে স্থানান্তর করা হল? সে নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

Paschim Medinipur News : পাখা সঙ্গে আনবেন! তীব্র গরমে সরকারি হাসপাতালে বাইরে পোস্টার ঘিরে শোরগোল
এই বিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা CMOH জয়রাম হেমব্রম জানান, “ঘটনাটির কথা শুনেছি। BMOH-কে রিপোর্ট দিতে বলেছি। শুনেছি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সটি খারাপ আছে। এই ঘটনা দুঃখজনক।”

হাসপাতাল ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪৮ বছরের মেনকা কোঁড়ার বাড়ি বর্ধমানের পারবিরহাটার কোঁড়া পাড়ায়। ধান কাটার জন্য সপরিবারে ভাতারের কাঁচগোড়িয়া গ্রামে এসেছিলেন মেনকারা। গত দু’তিন দিন অসুস্থ থাকায় দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন তিনি।

Nadia News : আচমকাই ছাদ থেকে ঝাঁপ রোগীর, চাঞ্চল্য তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ তাঁকে ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা তিনটে স্যালাইন ও প্রয়োজনীয় ওষুধ দেন। অবস্থার উন্নতি হচ্ছে না দেখে তাঁকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

মৃতার ভাই রাজু কোঁড়ার অভিযোগ, “দিদিকে সকাল সাড়ে আটটার সময় হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করার জন্য বলে হাসপাতাল। পয়সা না থাকায় কোনও অ্যাম্বুলেন্সও নিয়ে আসতে পারিনি। আমাদের কাছে অত টাকা নেই শুনে জানানো হয়, গৃ্হস্থের (যাঁদের বাড়ির ধান কাটতে এসেছেন) বাড়ি থেকে টাকা আনতে। কিন্তু অতটা সময় হাতে ছিল না।ঠিক করি ট্রেনে করে বর্ধমান নিয়ে যাব। সেই মতো টোটো করে স্টেশনে নিয়ে আসি। প্ল্যাটফর্মে ওঠার কিছুক্ষণের মধ্যেই দিদি মারা যায়।”

Santipur State General Hospital : নেই অ্যানাস্থেসিয়ার ডাক্তার! চূড়ান্ত বেহাল দশা শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের
মৃতার স্বামী অসিত কোঁড়ার অভিযোগ, “হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করা গেলে মেনকাকে এভাবে মরতে হত না। অন্তত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যেত।”

কয়েকমাস আগে জলপাইগুড়ির‘কাঁধে মৃতদেহ’ কাণ্ডের পর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের একবার রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন উঠল। পরে কয়েকজন স্থানীয় মানুষ চাঁদা তুলে একটি গাড়িভাড়া করে দেন ওই পরিবারকে। এরপর মেনকার মৃতদেহ বর্ধমানে নিয়ে যায় পরিবার।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *