৯.৩ কোটি টাকা খরচে তৈরি এই উড়ালপুলে প্রথম বড়সড় ফাটল দেখা গিয়েছিল ২০১৬ সালে। সে সময়ে কেএমডিএ’র তরফে জানানো হয়েছিল, অবিলম্বে ফাটল যাচাই করে মেরামত করতে হবে। সেই মেরামতির পরে ২০১৯ সালে ফের উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ভারী যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে মেরামতির কাজ হয়।
বৃহস্পতিবার ভোরে ফের উড়ালপুলে সমস্যা দেখা দেওয়ায় সোমবার জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। উড়ালপুলটি এখনই ভাঙা হবে, না অন্য কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে–সে বিষয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে কেএমডিএ সূত্রের খবর। আজ, শুক্রবার উড়ালপুল পরিদর্শনে যাবেন কেএমডিএ’র আধিকারিকরা।
পুরমন্ত্রী তথা কেএমডিএ চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম বলেন, “মাঝেমধ্যে মেরামত চলছে। কিন্তু এ ভাবে বেশিদিন চলবে না। ইঞ্জিনিয়াররা বলছেন, নকশায় গলদ তো বটেই। উড়ালপুলের করুণ অবস্থার জন্যে দায়ী মেট্রোর কাজও। সে কারণেই নতুন উড়ালপুল তৈরি করতে হবে।”
এই রাস্তার সমান্তরালেই গত কয়েক বছর ধরেনিউ গড়িয়া-এয়ারপোর্ট রুটে মেট্রোর কাজ চলছে। পেল্লায় সব বিম বসেছে ফ্লাইওভারের গায়ে। উড়ালপুলটি এমনিতেই দুর্বল ছিল। বিম বসানোর সময়ে কম্পনে ফ্লাইওভারটি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।
বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তাদেরও একই বক্তব্য। যদিও রেলের কর্তাদের দাবি, যাবতীয় সুরক্ষাবিধি মেনেই কাজ চলছে। চিংড়িঘাটা উড়ালপুলে ফাটলের খবরে বৃহস্পতিবার সকালেই সেখানে পৌঁছন কেএমডিএ আধিকারিকরা। উড়ালপুল পরীক্ষার পরে দুপুরের মধ্যেই কিছু মেরামতির কাজ হয়।
এ দিন সকালে ফাটল দেখা যায় সল্টলেকের নেতাজি আইল্যান্ড লাগোয়া রাস্তাতেও। প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে ফাটলটি নজরে আসে স্থানীয় কয়েক জনের। কিছুক্ষণের মধ্যে বিক্ষোভে নেমে পড়েন বিজেপির স্থানীয় নেতারা। তবে ওই ফাটলের জন্যে যান চলাচলে কোনও সমস্যা হয়নি।
যে অংশে ফাটল, তা ঘিরে শুরু হয় মেরামতের কাজ। দুপুরের মধ্যেই ফাটলটি মেরামত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিধাননগর পুরনিগম।