কোভিড নিয়ে সজাগ হওয়ার জন্য এই রাজ্যগুলিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ। সেই সঙ্গে করোনা যে এখনও পাকাপাকিভাবে দেশ থেকে দূর হয়নি, তারও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব বলেন যে কোভিডের কারণে হাসপাতালে ভিড় না হলেও, সংক্রমণ রুখতে ঢিলেমি দেওয়া উচিত নয়। আট রাজ্যকে জেলাভিত্তিক করোনার রিপোর্ট পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান।
সেই রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পাঠানো চিঠিতে কোভিড পরীক্ষা জোরদার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জোর দেওয়া হয়েছে টিকাকরণেও। এদিকে, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বৃহস্পতিবারের তুলনায় শুক্রবার করোনার দৈনিক সংক্রমণ কিছুটা কমল। একদিনে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১১ হাজার ৬৯২ জন মানুষ।
আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ১২ হাজারের একটু বেশি। এ নিয়ে পরপর চারদিন করোনার দৈনিক সংক্রমণ ১০ হাজারের গণ্ডি পার করল। সংক্রমণের পাশাপাশি বেড়েছে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যাও। এখনও পর্যন্ত দেশে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৬৬ হাজার ১৭০। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৮ জনের। আগেরদিন সংখ্যাটা ছিল ২৯।
অন্য কয়েক দিনের তুলনায় রাজধানীতে করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমেছে বলে দাবি করেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ। সংক্রমণ রুখতে রাজ্য সরকার প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করেছে বলে জানান তিনি। আগামী দিনে সংক্রমণে রাশ টানা যাবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন দিল্লি সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
যাঁরা নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের মূলত জ্বর, সর্দি-কাশির মতো উপসর্গগুলি রয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। অনেক সময় উপসর্গ হিসেবে চোখ লাল হওয়া এবং ডায়ারিয়ার মতো সমস্যা রয়েছে। সেই সঙ্গে সংক্রমণ রুখতে মাস্ক পরার উপর জোর দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এই মুহুর্তে সংক্রমণে রাশ টানা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে সরকারের কাছে।