Drinking Water Crisis : জলের অভাবে হাহাকার, বিধায়কের দুয়ারে ঘুরেও জল না পেয়ে অবরোধ স্থানীয়দের – debanandapur panchayat people started road blockage due to water crisis


West Bengal News : তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। আর তাতেই গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে পানীয় জলের সমস্যা। তাপমাত্রার পারদ ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। এই সময় চিকিৎসকরা বেশি করে পানীয় জল খেতে বলছেন। কিন্তু সেই পানীয় জলের হাহাকার দেখা দিয়েছে হুগলি জেলার দেবানন্দপুর পঞ্চায়েত এলাকায়।

গত কয়েক মাস ধরে পানীয় জলের সমস্যায় জেরবার দেবানন্দপুরের বিশালক্ষ্মিতলা মালপাড়া সহ বেশ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা।গরম পড়তেই সেই সমস্যা আরও বেড়েছে। গত কয়েকদিনে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রিতে পৌঁছেছে। আর এই সময় জল না পেয়ে খুবই কষ্টে রয়েছেন বাসিন্দারা।

Summer Heat : এক বালতি জলের জন্য গোটা ১ দিনের অপেক্ষা! চাঁদিফাটা গরমে নাজেহাল বাসিন্দারা
আজ তাঁরা দেবানন্দপুরে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভে সামিল হন। বাসিন্দাদের অভিযোগ জলের লাইন দেওয়ার জন্য তাঁরা টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু জল সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে। অনেক বাড়িতে জল পৌঁছয় না।

পঞ্চায়েত এলাকার জনপ্রতিনিধি এমনকি বিধায়ককেও জানানো হয়েছে কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার এলাকা ঘুরে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জলের সমস্যা মেটানোর। কিন্তু তাও কাজ হয়নি।

Water Crisis In Bankura : ৬ দিন যাবৎ জল আসছে না কলে! তীব্র গরমে অতিষ্ঠ গ্রামবাসীর বিক্ষোভ বাঁকুড়ার গ্রামে
স্থানীয় বাসিন্দা মানস বিশ্বাস বলেন, “জল সমস্যা না মিটলে বুথ পর্যন্ত পঞ্চায়েতে ভোটে কেউ ভোট দিতে যাবে না। যতই এসে অনুরোধ করা হোক আমরা কেউ ভোট দিতে যাব না। কয়েক মাস ধরে কলে জল আসছে না। সবার দুয়ারে ঘুরেও জল মিলছে না। অসিত মজুমদারকে জানালেও তিনি আসছি বলেও আসেননি। এভাবে আর কতদিন চলবে? গ্রামের বাচ্চারা জল খেতে পারছে না। বয়স্কদের অবস্থাও খুব খারাপ। কেউ আমাদের দিকে একটু তাকিয়েও দেখেন না।”

যদিও দেবানন্দপুর পঞ্চায়েতের সদস্য পীযূষ কান্তি ধর জানান, “জলের সমস্যা আছে এটা বাস্তব। আমরা চেষ্টা করছি যাতে মানুষের কাছে জল পৌঁছে দেওয়া যায়।তীব্র গরমে জলের স্তর নেমে যাওয়াতেই পাম্প চালিয়ে ওভার হেড রিজার্ভার ভরতে সমস্যা হচ্ছে। পঞ্চায়েতে দুটি মাত্র রিজার্ভার রয়েছে। তা দিয়ে সব এলাকায় জল দেওয়া যাচ্ছে না। গরমের জন্য ঠিকাদারের লোকজন কাজ করতে চাইছে না। আরও দুটি পাম্প বসানোর জন্য PHE-কে বলা হয়েছে।”

Bardhaman News : রাস্তা-পানীয় জল-নিকাশি সহ একগুচ্ছ অভিযোগ, গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ মেমারিতে
কিন্তু এসব কথাতে আর গা ভাসাতে রাজি নন গ্রামের বাসিন্দারা। গ্রামের এক মহিলা জানান, “এক বালতি জলের জন্য যে আমাদের কি যন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে, তা সরকারি বাবুরা ঠাণ্ডা ঘরে বসে বুঝতে পারবেন না। তাঁদের কাছে আমাদের দাবি, গ্রামে এসে একবার ঘুরে দেখে যান। নাহলে ভোট পাবেন না।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *