Jiban Krishna Saha : পুকুরে ফোন ফেলার পিছনে লুকিয়ে কোন রহস্য? আদালতে জানালেন জীবনের আইনজীবী – court ordered cbi custody to arrested trinamool congress mla jiban krish saha


নিয়োগ দুর্নীতিতে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহা। তাঁকে এদিন আদালতে পেশ করা হয়। গত শুক্রবার বিধায়কের বাড়িতে সিবিআই অভিযান চলাকালীন জীবনের বিরুদ্ধে তাঁর দুটি মোবাইল ফোন পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।সিবিআই আধিকারিকদের হাত থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে বাড়ির পুকুরে ফেলে দেন তৃণমূল বিধায়ক। এই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। বিধায়কের মোবাইল দুটি খুঁজে পেতে নাকানি চোবানি খেতে হয় সিবিআই আধিকারিকদের। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টা পুকুরে জল ছেঁঠে ও জেসিবি মেশিন নামিয়ে মোবাইল দুটি উদ্ধার করে সিবিআই।

Jiban Krishna Saha : জীবনকৃষ্ণকে নিয়ে আলিপুর আদালতের পথে CBI, জিজ্ঞাসাবাদে আরও ৮ বিধায়কের নাম!
এদিন আদালতে জীবনের মোবাইল ফোন ফেলে দেওয়ার কারণ জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী। তৃণমূল বিধায়কের জামিনের আবেদন করে এদিন আদালতে জীবনের আইনজীবী জানিয়েছেন, মেয়ের সঙ্গে কথা না বলার কারণে রাগে মোবাইল ফোন পুকুরে ফেলে দেন তিনি।

সওয়াল জবাব চলকালীন জীবনের আইনজীবী এদিন আদালতে বলেন, “সিবিআই আধিকারিকরা ফোনটি বাজেয়াপ্ত করেন। ওনার মেয়ে পড়াশোনার কারণে শিলিগুড়িতে থাকেন। প্রতিদিন সন্ধেবেলা ফোনে মেয়ের সঙ্গে আমার মক্কেলর কথা হয়। সেদিনও মেয়ের সঙ্গে কথা বলার জন্য সিবিআই অফিসারদের থেকে তিনি ফোন চেয়েছিলেন। তাঁকে ফোন না না দেওয়ার কারণে রাগে তিনি ফোন ফেলে দেন।”

Recruitment Scam : তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতির বাড়ি-আশ্রমে CBI, বিভাসের খোঁজে গোয়েন্দারা
সিবিআইয়ের আইনজীবী এদিন আদালতে জানিয়েছেন, তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি থেকে বিভিন্ন নথি পাওয়া গিয়েছে। এমনকী বিভিন্ন চাকরিপ্রার্থী ও এজেন্টদের থেকে টাকা নেওয়ার প্রমাণও সিবিআইযের হাতে রয়েছে। সেই কারণে বিধায়কের সিবিআই হেফাজতের আবেদন করা হয়। তবে তৃণমূল বিধায়কের আইনজীবী গোটা ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন। তৃণমূল বিধায়কের আইনজীবীর দাবি, রাজনৈতিক শত্রুতার কারণে তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে বাইরে থেকে নথি ফেলে রাখা হতে পারে। এমনকী জীবনের সিবিআই হেফাজতেক বিরোধিতাও করেন তিনি। সওয়াল-জবাব শেষে বিধায়ককের ২৫ এপ্রিল অবধি সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

Tapas Saha : তাপস সাহার বাড়িতে CBI, তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি-অফিসে তল্লাশি
জীবনের গ্রেফতারির পর সিবিআই সূত্রে একাধিক চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয়েছিল। সিবিআই আধিকারিকদের দাবি, কৌশিক ঘোষ নামে এক বন্ধুর সঙ্গে মিলেই টাকা নিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার ব্যবসা চালু করেন জীবন। কৌশিক ঘোষকে আগেই গ্রেফতার করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থীর থেকে ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা করে নেওয়া হত। এমনকী গোরু পাচারকাণ্ডে জীবনের যোগসূত্র মিলেছে বলে সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে। আগামী দিনে এই মামলা কোন দিকে যায়, সেটাই এখন দেখার।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *