এদিন আদালতে জীবনের মোবাইল ফোন ফেলে দেওয়ার কারণ জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী। তৃণমূল বিধায়কের জামিনের আবেদন করে এদিন আদালতে জীবনের আইনজীবী জানিয়েছেন, মেয়ের সঙ্গে কথা না বলার কারণে রাগে মোবাইল ফোন পুকুরে ফেলে দেন তিনি।
সওয়াল জবাব চলকালীন জীবনের আইনজীবী এদিন আদালতে বলেন, “সিবিআই আধিকারিকরা ফোনটি বাজেয়াপ্ত করেন। ওনার মেয়ে পড়াশোনার কারণে শিলিগুড়িতে থাকেন। প্রতিদিন সন্ধেবেলা ফোনে মেয়ের সঙ্গে আমার মক্কেলর কথা হয়। সেদিনও মেয়ের সঙ্গে কথা বলার জন্য সিবিআই অফিসারদের থেকে তিনি ফোন চেয়েছিলেন। তাঁকে ফোন না না দেওয়ার কারণে রাগে তিনি ফোন ফেলে দেন।”
সিবিআইয়ের আইনজীবী এদিন আদালতে জানিয়েছেন, তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি থেকে বিভিন্ন নথি পাওয়া গিয়েছে। এমনকী বিভিন্ন চাকরিপ্রার্থী ও এজেন্টদের থেকে টাকা নেওয়ার প্রমাণও সিবিআইযের হাতে রয়েছে। সেই কারণে বিধায়কের সিবিআই হেফাজতের আবেদন করা হয়। তবে তৃণমূল বিধায়কের আইনজীবী গোটা ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন। তৃণমূল বিধায়কের আইনজীবীর দাবি, রাজনৈতিক শত্রুতার কারণে তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে বাইরে থেকে নথি ফেলে রাখা হতে পারে। এমনকী জীবনের সিবিআই হেফাজতেক বিরোধিতাও করেন তিনি। সওয়াল-জবাব শেষে বিধায়ককের ২৫ এপ্রিল অবধি সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
জীবনের গ্রেফতারির পর সিবিআই সূত্রে একাধিক চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয়েছিল। সিবিআই আধিকারিকদের দাবি, কৌশিক ঘোষ নামে এক বন্ধুর সঙ্গে মিলেই টাকা নিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার ব্যবসা চালু করেন জীবন। কৌশিক ঘোষকে আগেই গ্রেফতার করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থীর থেকে ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা করে নেওয়া হত। এমনকী গোরু পাচারকাণ্ডে জীবনের যোগসূত্র মিলেছে বলে সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে। আগামী দিনে এই মামলা কোন দিকে যায়, সেটাই এখন দেখার।