Kolkata Fire : ট্রান্সফর্মার ফেটে বিপত্তি, তপসিয়ায় রাসায়নিক কারখানায় বিধ্বংসী আগুন – kolkata fire incident at topsia chemical factory


ফের শহরে অগ্নিকাণ্ড। শুক্রবার সন্ধ্যায় ৬টা বেজে ২০ মিনিট নাগাদ আগুন লাগে তিলজলা থানা এলাকার তপসিয়ার গাব তালাব মসজিদের কাছে একটি রাসায়নিক কারখানায়। একাধিক দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে শুরু করে ওই কারখানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দমকলের ৮টি ইঞ্জিন। প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আগুন জ্বলে বলে খবর। সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিট নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে পাশের একটি প্ল্যাস্টিকের গোডাউনেও আগুন ধরে যায়। জানা গিয়েছে, ট্রান্সফর্মার ফেটেই এই আগুন লেগেছিল। যদিও কোনও হতাহতের খবর মেলেনি।

জানা গিয়েছে,তপসিয়ার সাপগাছি অটোস্ট্যান্ডের কাছে একটি পিভিসি-র কারখানায় ছিল এটি। ওই কারখানায় CESC বক্স আচমকা বিকট শব্দ করে ফেটে যায়। সেই থেকেই আগুন লাগে বলে দমকল সূত্রে খবর। তবে দমকলের ৮টি ইঞ্জিনের প্রায় ঘণ্টা দেড়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, এদিন প্রথমে ওই পিভিসি কারখানার ভিতর থেকে কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। তারপর কয়েক মিনিটের মধ্যেই আগুন আশপাশেও ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের লেলিহান শিখা দ্রুত পাশের প্ল্যাস্টিক কারখানায় ছড়িয়ে যায়। এলাকা ঘিঞ্জি হওয়ায় আগুন নেভাতে সমস্যা হয় বলে দমকল কর্মীদের। ঠিক কত টাকার ক্ষতি হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ওই কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবি, বহু সামগ্রী পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।

Howrah Fire Incident : ৯ দিনের ব্যবধানে ফের আগুন হাওড়ায়, পুড়ে ছাই প্রায় ১৫০টি দোকান
সম্প্রতি, গত ১৩ এপ্রিলতপসিয়ার একটি জুতোর কারখানায় ভয়বাহ আগুন লাগে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেল ৪টে নাগাদ তপসিয়ার ৪ নম্বর সাতগাঁছি এলাকার এই জুতোর কারখানায় আগুন দেখা যায়। ৪২ নম্বর বাসস্ট্যান্ডের কাছে একদম কাছে জুতোর কারখানাটি থাকার কারণে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। ঘটনাস্থলে আগু নেভানোর কাজ করে দমকলের মোট ১৩টি ইঞ্জিন। বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে দমকলকর্মীরা ওই পাঁচতলা বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালান।

Fire Accident : তপসিয়ার জুতোর কারখানায় ভয়াবহ আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ৯ ইঞ্জিন
আগুন লাগার সময় বাড়ির তিনজন বাসিন্দা আটকে পড়েছিলেন। তাদের অক্ষত অবস্থায় বাইরে বের করে আনতে পেরেছে দমকল কর্মীরা। পাশাপাশি CESC ও কলকাতা পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ার জন্য আশেপাশে বাড়িগুলিও খালি করে দেওয়া হয়। ফলে মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে এই এলাকায় আবারও বিধ্বংসী আগুন লাগার ঘটনায় তীব্র আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *