জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কীভাবে ছাত্রীর মৃত্যু কালিয়াগঞ্জে? ধর্ষণ করে খুন? ‘ময়নাতদন্তে রিপোর্টে প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর যে কারণ আছে, তা হল বিষক্রিয়া। দেহে আঘাতের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি’, জানালেন উত্তর দিনাজপুরের পুলিস সুপার মহম্মদ সানা আখতার। ১৪ দিনের পুলিসি হেফাজতে ২ অভিযুক্ত।
২৪ ঘণ্টা পার। ছাত্রীর মৃত্যুতে এখনও ক্ষোভে ফুঁসছে কালিয়াগঞ্জ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ওই নাবালিকা। এদিন সকাল থেকে ফের সাহেবঘাটা এলাকায় দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। বাধা দিলে পুলিসের সঙ্গে রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় জনতা। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে পুলিস কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় ও লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ।
কেন এমন পরিস্থিতি? পুলিস সুপার মহম্মদ সানা আখতার বলেন, ‘কিছু লোকজন প্রতিবাদ করছিলেন। আমরা অনেকক্ষণ ধরে বোঝালাম। পরিবারে লোক ছিল না। আশেপাশের লোকজন উত্তেজিত হয়ে পুলিসকে হেনস্তা করতে শুরু করল। একটা গুমটি ছিল, সেটা জ্বালিয়ে দিল। তারপর হালকা লাঠিচার্জ করে আমরা পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে এনেছি’। তাঁর আরও বক্তব্য, ‘আমরা সমস্তরকমভাবে তদন্ত করছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধ কড়া পদক্ষেপ করা হবে’।
আরও পড়ুন: Kaliagung Student Death: পুলিসের সঙ্গে বচসা, দোকানে ভাঙচুর! ফের অগ্নিগর্ভ কালিয়াগঞ্জ
এদিকে কালিয়াগঞ্জে ছাত্রী মৃত্যুর পর একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। সেই ভিডিয়ো দেখা যাচ্ছে, দেহটি টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে পুলিস! পুলিস সুপার বলেন,সেই মুহূর্তের পরিস্থিতি অনুয়ায়ী পুলিস কাজ করেছে। সবাইকে অনুরোধ গুজবে কান দেবেন না’।