Birbhum School : সুনীল-সন্দীপনদের স্মৃতিধন্য স্কুল এখন দুষ্কৃতীদের আখড়া – sunil gangopadhyay sandipan chatterjee memorable school is now an arena for miscreants


হেমাভ সেনগুপ্ত, রামপুরহাট
এক সময় এখানে নিয়মিত আসতেন সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়। এসেছেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ও। কবিদের পরশধন্য সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সংলগ্ন গ্রাম এখন দুষ্কৃতীদের কবলে। রাতারাতি স্কুল চত্বর থেকে গায়েব হয়ে গিয়েছে একের পর এক গাছ। বীরভূম-ঝাড়খণ্ড সীমানার ছোট্ট গ্রাম তুমবনি। রামপুরহাট ১ নং ব্লকের অধীন কুসুম্বা গ্রাম পঞ্চায়েতের একদা সবুজ ছোট্ট গ্রামটি আজ পাথর খাদান আর ক্র্যাশারের ধুলোয় বিধ্বস্ত।

School Summer Vacation: গরমে পুড়ছে বাংলা, কাল থেকে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
অথচ এই গ্রামেই ছয়ের দশকে গড়ে উঠেছিল শ্রীরামকৃষ্ণ শিক্ষাপীঠ। প্রতিষ্ঠাতা মুকুন্দবিহারী সাহার প্রচেষ্টায় রামকৃষ্ণ মিশনের আদর্শে ১০০ বিঘা জমির উপর গড়ে তোলা হয় অতিথি নিবাস, ধ্যানকক্ষ, স্কুল বাড়ি, হোস্টেল, ট্রেনিং স্কুল, বাগান, গোশালা। অপরূপ প্রাকৃতিক পরিবেশে ‘শান্তির নীড়’ সম এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এক সময় প্রাণের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছিল সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়দের। প

West Bengal Trending News: ২ মিনিট ২৫ সেকেন্ডে ১০০ রাজধানীর নাম, সাড়ে তিন বছরেই অনন্য কীর্তি
রবর্তীকালে স্কুলটি সরকার পোষিত হয়ে ওঠে। শিক্ষার গুণগত মানের জন্য সারা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসত পড়ুয়ারা। হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করত তারা। মুকুন্দবাবুর আমলেই পরে প্রতিষ্ঠান রক্ষার তাগিদ থেকেই শ্রীরামকৃষ্ণ শিক্ষাপীঠ নামে একটি সোসাইটি গঠন করা হয়। মুকুন্দবিহারী সাহা হয়ে উঠেছিলেন সকলের ‘দাদু’।

Kolkata News : কলকাতায় মিশর রহস্য! এই শহরে রয়েছে ৩ হাজার বছরের মমি, কোথায়?
আজও প্রতি বছর ১৪ মার্চ দাদুর জন্মদিন পালন হয় ঘটা করে। পরবর্তী কালে মুকুন্দবাবু প্রয়াত হলে তাঁর স্মৃতিতে তুমবনি গ্রামের ওই অঞ্চলের নাম হয়ে যায় মুকুন্দপল্লি। স্কুলের দেখভাল স্কুল পরিচালন সমিতি করলেও সংলগ্ন বিশাল জমিতে যা যা রয়েছে, তার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে সোসাইটি। পরবর্তী কালে, ওই অঞ্চলের মাটির তলায় কালো পাথরের সন্ধান মেলায় শুরু হয়ে যায় পাথর খাদান তৈরির কাজ।

Bethune School: বেথুন কলেজিয়েট স্কুলের 175 বছর উদযাপনে বছরভর বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান, আমন্ত্রণ মুখ্যমন্ত্রীকেও
সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গজিয়ে ওঠে ক্র্যাশারে পাথর ভাঙার কারবার। ফলে ধীরে ধীরে বাইরের লোকের আনাগোনা বাড়ে। গড়ে ওঠে নতুন নতুন বসতি। স্কুল টিকে থাকলেও ক্যাম্পাসে এখন অবাধ বিচরণ স্থানীয় দুষ্কৃতীদের। যার ফলস্বরূপ কিছু দিন আগেই রাতারাতি উধাও হয়ে গিয়েছে বিশাল বিশাল শাল গাছের গুঁড়ি।

Higher Secondary : উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণদের আধার তথ্য তলবে প্রশ্ন
সংলগ্ন উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক সন্দীপ সাহা বলেন, ‘কে গাছ কাটছে বলতে পারব না। সোসাইটির লোক বলতে পারবে।’ সোসাইটির সিংহভাগ সদস্যই এখন গ্রামের বাইরে থাকেন। গ্রামে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা দুষ্কৃতীদের ভয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না। সোসাইটির সভাপতি নব্বই বছরের ভবানীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় খবর পেয়ে ভগ্ন শরীরে নিজে পুলিশে দ্বারস্থ হন।

Uttar Dinajpur : উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ! রণক্ষেত্র কালিয়াগঞ্জ
তিনি বলেন, ‘ওটা আমাদের স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান। বহু ইতিহাসের সাক্ষী। কিন্তু রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা গাছ চুরি করে নিচ্ছে। আমরা পুলিশকে জানিয়েছি।’ এই চত্বরেই রয়েছে ফরেস্টের রেঞ্জ অফিস। সোসাইটির সদস্যদের অভিযোগ, গাছ কাটার খবর জানালেও বন দপ্তর দায় ঝেড়ে ফেলেছে। সোসাইটির সম্পাদক অপূর্ব মণ্ডল বলেন, ‘দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে প্রতিষ্ঠান রক্ষা করা মুশকিল হয়ে পড়েছে।’ বীরভূমের এডিএফও শ্রীকান্ত ঘোষ বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছি।’ রামপুরহাটের এসডিপিও ধীমান মিত্রও বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *