পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গড়িয়ার বাসিন্দা সুরজিৎ ওরফে সাহেব সর্দারকে গত ১৩ তারিখ দুপুরে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ৷ যদিও পুলিশের নথিতে ১৪ তারিখ গ্রেফতার দেখানো হয়েছে ৷ চুরির মামলা দায়ের হয় অভিযুক্তের নামে৷ এর আগেও নরেন্দ্রপুর থানায় ছিনতাইয়ের ঘটনার অভিযোগ দায়ের হয়৷ অভিযোগ রয়েছে সোনারপুর থানাতেও৷
একাধিকবার গ্রেফতারও হয় অভিযুক্ত৷ ধৃত নেশাগ্রস্ত ছিল বলে জানা গিয়েছে৷ দু’বার তাকে নেশামুক্তি কেন্দ্রে ভর্তিও করা হয় বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে৷ জানা গিয়েছে, ২০ তারিখ থানার লকআপেই অসুস্থ বোধ করে সুরজিৎ৷ প্রথমে তাঁকে সোনারপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তাঁকে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়৷ সেখানেই ২১ তারিখ অর্থাৎ শুক্রবার মৃত্যু হয় সুরজিৎ-এর৷ আজ দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে৷
মৃতের দাদা সুব্রত সর্দার জানান, লকআপে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে তাঁর ভাইকে৷ একই কথা বলেন সাহেবের আরেক দাদা সুভাস সর্দারও। তারা এই ঘটনার যথাযথ তদন্ত দাবি করেন৷ যদিও বিষয়টি নিয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে চায়নি নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
পুলিশ মৃতের পরিবারের কাছ থেকে টাকা দাবি করে বলেও গুরুতর অভিযোগ জানিয়েছেন মৃতের দাদা সুব্রত সর্দার। তিনি জানান, এখনও পর্যন্ত দু দফায় মোট ২০ হাজার টাকা তাঁরা পুলিশকে দিয়েছেন। এরপরেও পুলিশের তরফে আরও টাকা চাওয়া হয় বলে দাবি তাঁর। এমনকি টাকা না দিতে পারার কারণেই পুলিশের লকআপে সুরজিৎ ওরফে সাহেব সর্দারকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ।
পরিবারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব৷ প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশুতোষ চট্টোপাধ্যায় বলেন, নরেন্দ্রপুর থানা অন্যায়ের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ ধারণ করেছে৷ এই ঘটনার ন্যায্য বিচার পেতে প্রয়োজনে তাঁরা উচ্চ আদালতের দারস্থ হবেন৷ এমনকি সিবিআই তদন্তও চাইবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এসপি অফিসের পাশাপাশি কংগ্রেস নেতারা নরেন্দ্রপুর থানায় যান। মৃতের পরিবারের সঙ্গেও দেখা করেন তাঁরা।