Suvendu Adhikari : ‘ইদের অনুষ্ঠানকে বিষাক্ত করেছেন’, মমতার বক্তব্যকে হাতিয়ার করে তোপ শুভেন্দুর – bjp leader suvendu adhikari slams cm mamata banerjee on eid


রেড রোডে ইদের অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে বিজেপিকে আক্রমণের পাশাপাশি এনআরসি ইস্যুতে সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী। মমতার সেই বক্তব্য টুইট করে পালটা মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন মমতার বক্তব্যের একটি অংশ টুইট করে তাঁর বিরুদ্ধে ইদের অনুষ্ঠান বিষাক্ত করার অভিযোগ করেন শুভেন্দু। তাঁর দাবিমমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সংখ্যালঘুদের শুধুমাত্র ‘ভোটব্যাঙ্ক’ হিসেবেই ব্যবহার করছেন।

টুইটে শুভেন্দু লেখেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাম্প্রদায়িক মুখ্যমন্ত্রী। ইদ উল ফিতরে মুসলিম সমাজকে শুভেচ্ছা জানানোর ধরন এইরকম? আপনি তাঁদের শুধুমাত্র নিজের ভোটব্যাঙ্ক হিসেবেই দেখেন? আপনি সকালেই তাঁদের অনুষ্ঠানকে বিষাক্ত করেছেন। সাম্প্রদায়িক রাজনীতির জন্য আজ হোক কী কাল, আপনাকে ভারী মূল্য চোকাতে হবে।”
টুইটে বিরোধী দলনেতা আরও লেখেন, “বিজেপি সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস আর সবকা প্রয়াসে বিশ্বাসী। আর আপনি সবাইকে উস্কানি ও ইন্ধন দিতেই ব্যস্ত। কারণ যাতে তাঁর আপনার অসফলতা, অনুন্নয়ন এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কখনও প্রশ্ন করতে না পারে।”

শুভেন্দুর টুইটের পালটা বিজেপিকে নিশানা করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। ফোনে এই সময় ডিজিটালকে তিনি বলেন, “বিজেপির আর্থিক নীতি ব্যর্থ। আগামী নির্বাচনে ওঁরা হারবে কারণ বাংলায় ওঁদের কোনও সংগঠন নেই। সংখ্যালঘুদের জিহাদি বলার সময় ওঁদের মনে ছিল না! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেগম, ফুফা বলে কে ধর্মী উস্কানি দিয়েছিল? বিজেপির মুখে এসব কথা মানায় না। তৃণমূল সব ধর্মকে সমান চোখে দেখে। তৃণমূল রেড রোডে দুর্গাপুজোর কার্নিভ্যালও করে আবার ইদের নমাজেও যায়।”

Mamata Banerjee : ‘NRC হতে দেব না’, রেড রোডে ইদের অনুষ্ঠান থেকে মমতা
এদিন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়ে রেড রোডে ইদের অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে রাজ্যবাসীকে ইদের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি বিজেপিকে কটাক্ষ করেন মমতা। এর পাশপাশি ফের একবার তাঁর মুখে শোনা যায় NRC প্রসঙ্গ।

Mamata Banerjee Suvendu Adhikari: জাতীয় তকমা ফিরে পেতে শাহকে চারবার ফোন মমতার! বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর
মমতা বলেন, “বিজেপির থেকে টাকা দিয়ে মুসলিম ভোট ভেঙে দেওয়ার বলছে কেউ কেউ। এ বছরের মধ্যে দেশে নির্বাচন। যাঁরা বাইরে কাজ করে, ২০২৪ সালে ভোটে সবাই যেন ভোট দেয় তা নিশ্চিত করুন। আজ ইতিহাস ও সংবিধান বদলানোর হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আবার এনআরসি নিয়ে কথা হচ্ছে। আমি স্পষ্ট বলেছি, যেখানে যা হোক এখানে আমি এনআরসি হতে দেব না।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *