প্রবীর চক্রবর্তী: পঞ্চায়েত ভোটে কাকে প্রার্থী চান? কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ। জনসংযোগ যাত্রায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কবে থেকে? মঙ্গলবার থেকেই শুরু কর্মসূচি। আগামিকাল, সোমবার কোচবিহারে পৌঁছবেন অভিষেক। প্রথম সভা দিনহাটার সাহেবগঞ্জে।
রাজ্যের বেশিরভাগ পঞ্চায়েত মেয়াদ শেষের মুখে। ভোট কবে? সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। কলকাতা হাইকোর্টে নির্দেশ যে চ্যালেঞ্জ করে যে মামলা দায়ের করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, সেই মামলা খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। ফলে ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ এখন আর কোনও আইনি বাধা নেই।
এদিকে স্রেফ পঞ্চায়েত নয়, যেকোনও ভোটেই রাজনৈতিক দলের প্রার্থীতালিকা চূড়ান্ত হয় বন্ধ ঘরে। প্রচলিত সেই ধারাকে এবার ভাঙতে চলেছে তৃণমূল! কীভাবে? কর্মসূচির পোশাকি নাম, ‘তৃণমূলের নব জোয়ার’।
বৃহস্পতিবার কলকাতা সাংবাদিক সম্মেলনে অভিষেক বলেন, ‘মানুষের মতামত নিয়ে মানুষের পঞ্চায়েত গড়তে চলেছি। যাঁকে দরকারে পাওয়া যাবে। তিনিই হবেন দলের পঞ্চায়েত প্রার্থী। পঞ্চায়েত শিড়দাঁড়া। তাই সেখানে কে প্রার্থী হবে তা মানুষের ঠিক করা উচিত’। জানান, ‘টানা ২ মাস রাস্তায় থাকব। দিনহাটা থেকে জনসংযোগ যাত্রা শুরু করে দু-মাসে সাগর বা কাকদ্বীপে শেষ করব। প্রতিদিন ৪-৫ জনসভা করব। তারপর গোপন ব্যালটে ভোট দেওয়া হবে। সেই প্রক্রিয়ার নাম গ্রাম বাংলার মতামত’।
তৃণমূল সূত্রে খবর, সোমবার কোচবিহার পৌঁছতেই মদনমোহন মন্দিরে পৌঁছে দেবেন অভিষেক। এরপর সোজা চলে যাবেন দিনহাটার বামনহাটায়। রাতে সেখানেই থাকবেন। পরের দিন মঙ্গলবার দিনহাটারই সাহেবগঞ্জে প্রথম জনসভা করবেন অভিষেক। সভা শেষে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে বেছে নেওয়া হবে পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থীদের।
এদিকে পঞ্চায়েত ভোটে দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই নন্দীগ্রাম প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। ঘটনার রীতিমতো ক্ষুদ্ধ দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। শুধু তাই নয়, পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয়ভাবেই প্রার্থীদের নাম ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বৈঠকে। সূত্রের খবর তেমনই।