এর ফলে প্রশ্নের মুখে পড়েছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের ভূমিকা। জল সঙ্কটের ঘটনার সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। জানা গিয়েছে, মালদার চাঁচল ১ নং ব্লকের দইভাত্তা গ্রামে প্রায় ৪০০ টি পরিবারের বসবাস। পানীয় জলের সঙ্কট দূরীকরণে গ্রামের এক পাশে বসানো হয়েছে PHE প্রকল্প। পরিশ্রুত পানীয় জল পরিষেবা দিতে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে গিয়েছে জল সংযোগ, কিন্ত তিন বছর কেটে গেলেও মেলেনি পানীয় জল।
গ্রামবাসীরা একাধিকবার প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। রবিবার দুপুরে দইভাত্তা গ্রামীণ সড়কে পরিশ্রুত পানীয় জলের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাল গোটা গ্রাম। খালি বালতি কলসি বাজিয়ে ক্ষিপ্ত মহিলারা বিক্ষোভে আছড়ে পড়েন।
এক গ্রামবাসী অভিযোগ করে বলেন, “এলাকার এক মহিলা ছবি মণ্ডল PHE প্রকল্পের দ্বারে তালা ঝুলিয়ে রেখেছেন। ফলে জল পরিষেবা ব্যাহত হয়ে পড়েছে এলাকায়। গ্রামে সাব মার্সিবল না থাকায় এক কিমি দূরে মাঠের মধ্যে কৃষি সেচের জল সংগ্রহ করতে হয়। রাতের বেলা আতঙ্কের মধ্যে জল আনতে যেতে হয় মহিলাদের। এই দুর্ভোগ প্রায় তিন বছরের।”
এদিকে তীব্র রোদে পুকুরের জল শুকিয়ে যাওয়ায় গ্রামবাসীরা স্বাভাবিক ভাবে স্নানও করতে পারছেন না। রান্না করা, বাসন মাজা, কাপড় কাচার ক্ষেত্রে স্বল্প পরিমাণে জল ব্যবহার হচ্ছে। এদিকে, গ্রামবাসীদের অভিযোগের ভিত্তিতে পালটা জবাব দিয়েছেন ছবি মণ্ডল।
তিনি দাবি করে বলেন, “আমার জায়গায় PHE প্রকল্প বসানো হয়েছে। আমি কেন চাকরি পাব না? চাকরি না দিলে আমি তালা খুলব না। তবে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে গ্রামবাসীরা আমাকে সহযোগিতা করলেই তালা খুলে দেব।”
এদিকে, দইভাত্তায় জল সঙ্কটের ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। চাঁচল-১ নং ব্লক BJP-র কো-কনভেনার প্রসেনজিৎ শর্মা বলেন, “রাজ্য সরকার ও তার জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর পানীয় জলের পরিষেবা দিতে ব্যর্থ। আধিকারিকেরা নাকে সর্ষের তেল দিয়ে ঘুমোচ্ছেন। মানুষের দুর্ভোগের কথা এরা শুনেও না শোনার ভান করে থাকে।”
বিরোধীদের কটাক্ষের পালটা মন্তব্য করেছেন চাঁচলের তৃণমূল বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ। বিধায়ক বলেন, “PHE দফতরের আধিকারিকদের কাছে জল সঙ্কটের বিষয়টি তুলে ধরেছি। দ্রুত জল পরিষেবা স্বাভাবিক হবে। তবে BJP মানুষের সঙ্গে বঞ্চনা করে। তাদের পাশে মানুষ নেই। তৃণমূল সরকার দুয়ারে দুয়ারে জল পৌঁছে দিয়েছে।”