রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে সাগরদিঘি থানার কাবিলপুরে। নিখোঁজ বালকের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা টিম ও ডুবুরি। ঘটনাস্থলে রয়েছে সাগরদিঘি থানার পুলিশও। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত বালিকার নাম সাথী মণ্ডল (১০) ও নিখোঁজ বালকের নাম বিশু মণ্ডল (১০)।
দুজনেরই বাড়ি সাগরদিঘি থানার সাহেবনগর চাঁইপাড়া। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর এলাকায় ভাগীরথী নদীতে স্নান করতে নামে ন’জন। ঘাটে বাঁধা একটি নৌকা থেকে তারা ঝাঁপ দিচ্ছিল ভাগীরথীতে। খেয়া পারাপারের ইঞ্জিন চালিত নৌকাটি ছেড়ে যেতেই তার স্রোতে ভেসে যায় পাঁচজন।
বাকিরা পাড়ে ফিরতে পারলেও পাঁচজন জলে হাবুডুব খেতে থাকে। তাদের ডুবতে দেখে এরপর স্থানীয়রা তড়িঘড়ি নদীতে ঝাঁপিয়ে উদ্ধার অভিযানে হাত লাগায়। উদ্ধারকারী দল তিনজন মেয়েকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। কিন্তু বাকি দুজনের কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি।
এর কিছুক্ষণ পরেই সাথী মণ্ডলের দেহ ভাসতে দেখা যায় ঘাট থেকে কিছুটা দূরে। তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। তবে বিশু মণ্ডলকে এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ঘটনাস্থলে পৌছেছে সাগরদিঘি থানার পুলিশ। খবর দেওয়া হয় ডুবুরি টিমকেও।
ডুবুরি টিম ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়। নিখোঁজ বিশু মণ্ডলের মা যমুনা মণ্ডল শোকার্ত অবস্থায় বলেন, “নদীতে নামতে বারন করেছিলাম। ছেলে শোনেনি। সবার সঙ্গে স্নান করতে এসেছিল। সাঁতার জানত না আমার ছেলে।”
প্রত্যক্ষদর্শী মেহেবুব রহমান এই বিষয়ে বলেন, “পাঁচজনকে তলিয়ে যেতে দেখে কয়েকজন নেমে তিনজনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে। একজনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। একজন এখনও নিখোঁজ হয়ে রয়েছে। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে।”
মেহেবুব আরও বলেন, “এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের কোনও আধিকারিক বা কোনও নেতাকে আমরা ঘটনাস্থলে দেখতে পাইনি। প্রাথমিক উদ্ধার কাজ স্থানীয় মানুষরাই করেছেন।ডুবুরি টিম ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা পরে এসে উদ্ধারে হাত লাগিয়েছেন।”