Street Dog Lover : অবলা তৃষ্ণার্তদের গলা ভিজিয়ে শান্তি দেন সুব্রত – behala ex footballer subrata guha help thirst animals and birds on a heat wave good news


দেবাশিস দাস
তীব্র গরমে ঘুরে ঘুরে জলের খোঁজে গলা শুকিয়ে আসে পথকুকুর, বিড়াল, পাখিদেরও। অসহায় পশু-পাখিদের তৃষ্ণা মেটাতে এবার পথে নামলেন অবসরপ্রাপ্ত প্রাক্তন ফুটবলার, বছর আটষট্টির প্রবীণ নাগরিক সুব্রত গুহ। পূর্ব বেহালার পুটিয়ারি ব্যানার্জিপাড়ার বাসিন্দা তিনি। তাপপ্রবাহের পরিস্থিতিতে তিনি দেখেছেন, অবলা জীবজন্তু রাস্তায় জলের অভাবে কতটা কষ্ট পায়। তাই তাদের জলপানের ব্যবস্থা করতে নিজেই নেমেছেন রাস্তায়।

গরম পড়লে শহরতলির প্রচ্ছদে জমা জলে পাখির স্নান করা, কুকুর, বিড়ালের গলা ভিজিয়ে নেওয়ার দৃশ্য ধরা পড়তো সহজেই। এখন বহুতলে ঢেকেছে শহরতলির আকাশ। জলাশয়ও আর যেখানে সেখানে দেখা যায় না। রাস্তার পাশে টিউবওয়েলও কমে গিয়েছে।

Royal Bengal Tiger : ORS মেশানো জল-পাখার ব্যবস্থা! চাঁদি ফাঁটা গরমে বাঘেদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা
অধিকাংশ এলাকায় নর্দমাও ভূগর্ভস্থ। ফলে গরমে হাঁসফাঁস করলেও গলা ভেজানোর জন্য প্রয়োজনীয় জলটুকু খুঁজে পায় না কুকুর, বিড়াল, পাখিরা। রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের চাকরি থেকে অবসর নিয়ে এখন বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজে যুক্ত থাকেন সুব্রত।

প্রতিদিন দু’বেলা পথকুকুরদের জন্য খাবার দেন ব্যানার্জিপাড়া সংলগ্ন এলাকায়। গত কয়েক দিন ধরে তীব্র গরমে ছটফট করছে সারা কলকাতা। আর এই গরমে পশু,পাখিরা যাতে একটু গলা ভিজিয়ে নিতে পারে তার জন্য পাড়ার প্রতিটি রাস্তার মোড়ে আর বাড়ির সীমানায় মাটির পাত্রে করে পানীয় জল রেখে দিয়েছেন সুব্রত। পথকুকুরদের খাবার দেওয়ার পাশাপাশি এখন প্রতিদিন ওইসব মাটির পাত্রের জল পাল্টে, ফের জলের ব্যবস্থা করাও রুটিন করে নিয়েছেন তিনি।

Ballavpur Deer Park : গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত, হরিণদের খাদ্য তালিকায় জুড়লো ORS-গ্লুকোজ
সুব্রতর কথায়, “প্রথমে দুটো মাটির পাত্রে জল রেখেছিলাম, যাতে বাড়ির গলির কুকুর, বিড়াল বা উড়ে আসা পাখিরা একটু গলা ভিজিয়ে নিতে পারে। কিন্তু বিষয়টা নজরে আসে আমাদের পাড়ার বাসিন্দা, টালিগঞ্জের স্টুডিও পাড়ার হেয়ার ড্রেসার হেনা মুন্সীরও। তিনি আরও খান দশেক মাটির পাত্র এনে দেন। অসহায় পশুপাখিরা যাতে গরমে গলা ভিজিয়ে নেওয়ার সুযোগ পায়, তার ব্যবস্থা করতে বলেন। আমি সেই কাজটাই করে চলেছি।”

Heatwave In Kolkata : সপ্তাহখানেক বইবে লু! আরও বাড়বে তাপমাত্রা, পথে বেরোলেই হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি
পশুপ্রেমী হিসেবে ব্যানার্জিপাড়ায় পরিচিতি আছে এই প্রবীণ নাগরিকের। কুকুর-বিড়াল অসুস্থ হলে তাদের চিকিৎসারও দায়িত্ব নেন তিনি। ব্যানার্জি পাড়ার বাসিন্দা মিঠু চক্রবর্তী বলেন, “পথকুকুর, বিড়াল, অসুস্থ পাখির যত্ন নেওয়া সুব্রত গুহর কাছে অনেকটা নেশার মতো। অনেক দিন ধরেই যত্ন সহকারে ওঁকে এই কাজটা করতে দেখছি।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *