কৃষ্ণা নায়েক পেশায় একজন যোগাসন প্রশিক্ষক। কর্ণাটকের নিজের যোগ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নিয়মিত যোগ প্রশিক্ষণ দেন তিনি। আর এই যোগ প্রশিক্ষণ দিয়ে অন্যকে সুস্থ রাখার বার্তা দিতে পায়ে হেঁটে দেশ ভ্রমণে বেরিয়ে পড়েছেন কৃষ্ণা নায়েক। যোগাসনের পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষার বার্তাও দিচ্ছেন কর্ণাটকের এই যুবক।
গত বছর ১৬ অক্টোবর বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন কৃষ্ণা। ইতিমধ্যে কর্ণাটক, কেরালা, তামিলনাড়ু, অন্ধপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, ওডিশা ঘুরে মঙ্গলবার দুপুরে রাজ্যের হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়ায় পৌঁছেছেন কৃষ্ণা। রাতে উলুবেড়িয়ায় রাত্রিবাস করার পর বুধবার ভোরে পুনরায় হাঁটা শুরু করবেন কৃষ্ণা।
এদিন বিকালে হাওড়া গ্রামীণ জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কৃষ্ণা নায়েককে সম্বর্ধনা দেন দলের সভাপতি দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা প্রসঙ্গে কর্ণাটকের এই যুবক জানান, যোগাসন আমাদের দেশের একটি পরম্পরা। ছোটবেলা থেকেই নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে শারীরিক ও মানসিক গঠন সুদৃঢ় হয়।
আর সেই কারণে হেঁটে দেশ ভ্রমণ করে মানুষকে যোগের বার্তা দিতে চেয়েছি। আগামী দিনে দেশের সর্বত্র যোগাসনের উপকারিতার বার্তা মানুষকে পৌঁছে দিতেই তাঁর এই যাত্রার উদ্দেশ্য বলে জানান তিনি। কৃষ্ণা জানান, ইতিমধ্যে ৮টি রাজ্য ঘোরা হয়ে গিয়েছে তাঁর। তবে এখনও ২০টি রাজ্য বাকি আছে। কৃষ্ণা জানান, যোগাসনের পাশাপাশি পরিবেশ দূষণ রুখতে মানুষকে এগিয়ে আসার কথাও মানুষকে জানাচ্ছি।
শিশুদের উৎকর্ষতা বৃদ্ধিতে যোগাসন প্রতিযোগিতা
কৃষ্ণা জানান, পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছে নারায়নগড়ে তিনি একটি স্কুলের বাচ্চাদের যোগ প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। ইচ্ছে ছিল, আরও কিছু স্কুলের বাচ্চাদের প্রশিক্ষণ দেন। কিন্তু স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি পড়ে যাওয়ায় তা আর হয়ে ওঠেনি। তিনি জানান, রাস্তায় মন্দির, স্কুল সহ বিভিন্ন জায়গায় রাত কাটাতে হচ্ছে। আগামী দিনে অন্যান্য রাজ্যে গিয়েও তিনি এই বার্তা পৌঁছে দেবেন মানুষের কাছে।
সমস্ত জায়গা থেকেই তিনি মানুষের ভালো সাড়া পাচ্ছেন বলে জানান কৃষ্ণা। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষে তাঁর এই ভ্রমণ শেষ হবে বলে জানান কৃষ্ণা নায়েক।