এদিকে সপ্তাহের প্রথম কাজের দিন পথ অবরোধে দূর্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। অন্যদিকে পথ অবরোধের খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে আসে গড়চুমুক তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ। পরে শ্যামপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। নামানো হয় র্যাফ।
পুলিশ কর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করলেও বিক্ষোভকারীরা তাদের দাবিতে অনড় থাকেন। পরে ঘটনাস্থলে আসেন হাওড়া গ্রামীণ জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন।
দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই দুর্ঘটনাকে মর্মান্তিক বললেও কম বলা হবে। গ্রামের মানুষদের মানসিক অবস্থা আমি বুঝতে পারছি। আমিও পুলিশের কাছে অনুরোধ জানিয়েছি দ্রুত ওই লরি চালককে খুঁজে বের করার।”
এরপর পুলিশ ঘাতক লরি সহ চালককে দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে সকাল ন’টা নাগাদ পথ অবরোধ উঠে যায়। যদিও এরপরে বিক্ষোভকারীরা গড়চুমুক তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ,লরির ধাক্কায় গ্রামের তিন যুবকের মৃত্যুর পর পুলিশ সেভাবে তদন্ত করছে না।
ফলে ঘাতক লরি সহ চালককে পুলিশ ধরতে পারেনি। অবিলম্বে লরি সহ চালককে ধরতে না পারলে পুনরায় রাস্তা অবরোধ করার হুঁশিয়ারি দেন গ্রামবাসীরা। বিক্ষোভরত এক গ্রামবাসী ক্ষোভের সুরে জানান, “পুলিশ যদি একটু গতি আনত তদন্তে, তাহলে ওই লরি আর তার চালক ধরা পড়ে যেত। কিন্তু পুলিশ তদন্তে পুরো ঢিলেমি করছে। কি কারণে বুঝতে পারছি না। তাই আমাদের আজকের বিক্ষোভ, যতক্ষণ না ওই লরি চালক ধরা পড়ছে, গ্রামের মানুষ শান্তি পাবেন না।”
প্রসঙ্গত গত শনিবার শ্যামপুরের ধ্বজা এলাকায় কালী পুজো দেখে বাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন ধান্দালি হাতি পাড়ার বিজয় হাতি, শান্তনু হাতি এবং কুন্তল দাস। ধ্বজা মাস্টার মোড়ের কাছে একটি লরি তাদের বাইকে ধাক্কা মারলে ঘটনাস্থলেই তিন জনের মৃত্যু হয়।