Jiban Krishna Saha : হাতের ইশারা, জীবন ওড়ালেন দুর্নীতি-যোগ – trinamool mla jiban krishna saha waved his hand in kolkata and tried to convince that he was not involved in recruitment scam


এই সময়:মুখ খুললেন না। তবে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা রবিবার কলকাতায় হাত নেড়ে বোঝানোর চেষ্টা করলেন, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে তিনি জড়িত নন। এ দিন নিজাম প্যালেস থেকে জীবনকৃষ্ণকে এসএসকেএম হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সাংবাদিকরা তখন তাঁর কাছে জানতে চান, তিনি কি নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত? অযোগ্যদের চাকরি দিয়েছেন? সরাসরি প্রশ্নের দেননি বিধায়ক। তবে গাড়ির ভিতর থেকে পিছনের দিকে মাথা ঘুরিয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশে হাত নেড়ে ইশারা করেন। বোঝাতে চান, কাউকে চাকরি দেননি। দুর্নীতির সঙ্গেও তিনি জড়িত নন।

Jiban Krishna Saha : তদন্তে জীবন-ঘরানিও কি নজরে
নবম-দশমে নিয়োগ মামলায় জীবনকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। তাঁর বাড়ি সংলগ্ন আম বাগান থেকে ছ’টি ব্যাগে প্রচুর নথি উদ্ধার হয়েছে বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন। তার মধ্যে নিয়োগ সংক্রান্ত নথিও ছিল বলে জানা যাচ্ছে। এ দিন তা নিয়েও জীবনকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। জানতে চাওয়া হয় – ‘উদ্ধার হওয়া ব্যাগগুলো কি আপনার?’ এই প্রশ্নেও হাত নেড়ে তিনি জানান, সেগুলো তাঁর নয়।

Jiban Krishna Saha : জীবনকৃষ্ণকে নিয়ে আলিপুর আদালতের পথে CBI, জিজ্ঞাসাবাদে আরও ৮ বিধায়কের নাম!
যদিও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা নথি খতিয়ে দেখে জেনেছেন, শুধু নবম-দশমে নয়, প্রাথমিক থেকে উচ্চ প্রাথমিক, গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি কর্মী নিয়োগেও জড়িত জীবন। তাঁকে সাহায্য করতেন কৌশিক ঘোষের মতো বেশ কিছু এজেন্ট। কৌশিক আগে গ্রেপ্তার হলে, অনেকে এখনও অধরা। এঁদের কাজ ছিল জেলায় জেলায় অযোগ্য প্রার্থীদের খুঁজে জীবনের কাছে নিয়ে যাওয়া। এর পর এঁদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হতো। তাঁদের নামের তালিকা চলে যেত শিক্ষা দপ্তরের অধিকারিকদের কাছে।

Jiban Krishna Saha : শিক্ষকতা করেও প্রচুর সম্পত্তি! অনুব্রতর আশীর্বাদেই কি জেটগতিতে জীবনের উত্থান?
সিবিআই সূত্রে খবর, জীবনের বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ মিলেছে। যা থেকে তদন্তকারীরা নিশ্চিত, তিনি নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত। জীবনের মাধ্যমে যেমন অনেকে চাকরি পেয়েছিলেন, তেমনই আবার টাকা দিয়ে অনেক চাকরি পাননি বলেও অভিযোগ রয়েছে। অনেকের আবার হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি চলে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ঠিক কতজন জীবনের মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন, তা স্পষ্ট নয়।

Jiban Krishna Saha : পুকুরে ফোন ফেলার পিছনে লুকিয়ে কোন রহস্য? আদালতে জানালেন জীবনের আইনজীবী
তবে পাঁচ জেলায় কম বেশি হাজার তিনেক চাকরিপ্রার্থী জীবনকে টাকা দিয়েছিলেন বলে খবর। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জীবনের বিরুদ্ধে আরও তথ্যপ্রমাণ পেতে চাইছেন গোয়েন্দারা। জীবন আপাতত সিবিআই হেফাজতে আছেন। এজেন্টদের পাশাপাশি শিক্ষা দপ্তরে কাদের সঙ্গে জীবনের সরাসরি যোগাযোগ ছিল, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *