নবম-দশমে নিয়োগ মামলায় জীবনকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। তাঁর বাড়ি সংলগ্ন আম বাগান থেকে ছ’টি ব্যাগে প্রচুর নথি উদ্ধার হয়েছে বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন। তার মধ্যে নিয়োগ সংক্রান্ত নথিও ছিল বলে জানা যাচ্ছে। এ দিন তা নিয়েও জীবনকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। জানতে চাওয়া হয় – ‘উদ্ধার হওয়া ব্যাগগুলো কি আপনার?’ এই প্রশ্নেও হাত নেড়ে তিনি জানান, সেগুলো তাঁর নয়।
যদিও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা নথি খতিয়ে দেখে জেনেছেন, শুধু নবম-দশমে নয়, প্রাথমিক থেকে উচ্চ প্রাথমিক, গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি কর্মী নিয়োগেও জড়িত জীবন। তাঁকে সাহায্য করতেন কৌশিক ঘোষের মতো বেশ কিছু এজেন্ট। কৌশিক আগে গ্রেপ্তার হলে, অনেকে এখনও অধরা। এঁদের কাজ ছিল জেলায় জেলায় অযোগ্য প্রার্থীদের খুঁজে জীবনের কাছে নিয়ে যাওয়া। এর পর এঁদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হতো। তাঁদের নামের তালিকা চলে যেত শিক্ষা দপ্তরের অধিকারিকদের কাছে।
সিবিআই সূত্রে খবর, জীবনের বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ মিলেছে। যা থেকে তদন্তকারীরা নিশ্চিত, তিনি নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত। জীবনের মাধ্যমে যেমন অনেকে চাকরি পেয়েছিলেন, তেমনই আবার টাকা দিয়ে অনেক চাকরি পাননি বলেও অভিযোগ রয়েছে। অনেকের আবার হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি চলে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ঠিক কতজন জীবনের মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন, তা স্পষ্ট নয়।
তবে পাঁচ জেলায় কম বেশি হাজার তিনেক চাকরিপ্রার্থী জীবনকে টাকা দিয়েছিলেন বলে খবর। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জীবনের বিরুদ্ধে আরও তথ্যপ্রমাণ পেতে চাইছেন গোয়েন্দারা। জীবন আপাতত সিবিআই হেফাজতে আছেন। এজেন্টদের পাশাপাশি শিক্ষা দপ্তরে কাদের সঙ্গে জীবনের সরাসরি যোগাযোগ ছিল, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।