২০১৪ সালে পাশ হওয়া কেন্দ্রীয় আইন অনুযায় বিভিন্ন শহরের টাউন ভেন্ডিং কমিটিগুলিকে হকারদের উপর নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে শহরের হকারদের পুরসভা বা সরকারকে কোনও ফি দিতে হয় না। তবে হকারদের অভিযোগ, রাজনৈতিক নেতা ও পুলিশের একাংশ তাঁদের থেকে বেআইনিভাবে টাকা আদায় করে।
কলকাতা পুরসভা যদি টাউন ভেন্ডিং কমিটির (Town Vending Committee) প্রস্তাব গ্রহণ করে, তবে প্রথমবারের জন্য হকারদের পুরসভা ও সরকারকে ফি দেওয়ার বিষয়টি সরকারিভাবে স্বীকৃতি পাবে। ফি-এর বিনিময়ে হকারদের রশিদ দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, স্বীকৃত হকারদের শংসাপত্রের পাশাপাশি পরিচয়পত্রও দেওয়া হবে। পুরসভা তরফে হকারদের দেওয়া সার্টিফিকেটের নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকবে। মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে তা ফের পুনর্নবীকরণ করতে হবে।
হকার সংগঠনের এক নেতা তথা টাউন ভেন্ডিং কমিটির সদস্য ওই ইংরেজি দৈনিককে জানিয়েছেন, শংসাপত্র প্রত্যেকবার পুননর্বীকরণের জন্য পুরসভাকে ৫০০ টাকা করে দিতে হবে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, হকারদের শংসাপত্র প্রদান করা হলে একদিকে তা যেমন তাঁদের স্বীকৃতি দেবে, ঠিক তেমনভাবেই নিয়ম মানতে তাঁরা বাধ্য থাকবে।কোনও নিয়মের লঙ্ঘন হলে পুরসভা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এমনকী তাঁদের স্বীকৃতি বাতিলও করে দেওয়া হতে পারে।
কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার এই প্রসঙ্গে এই সময় ডিজিটালকে বলেন, “হকাররা স্বীকৃতি পেলে তাঁদের অনেক সুবিধা হবে। ঋণ নিয়ে তাঁরা ব্যবসা আরও বাড়াতে পারবেন। এর পাশাপাশি এখনও তাঁদের হারানোর কিছু নেই, সেই কারণে অনেকেই নিয়ম লঙ্ঘন করেন। শংসাপত্র পেয়ে গেলে নিয়ম ভাঙলে পুরসভা পদক্ষেপ করতে পারবে।”
