এদিকে এদিন সপ্তাহের প্রথম কর্মব্যস্ত দিন। স্কুল বা অফিসে যাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে নাতো যানজটের ফাঁস? ঠিক কী বলছে আজকের ট্রাফিক আপডেট?
কলকাতা ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের তরফে জানানো হয়েছে, এদিনশহরে বড় কোনও মিটিং মিছিলনেই। ফলে যানজটের সম্ভাবনাও অত্যন্ত কম। সপ্তাহের প্রথম দিনেই স্কুল বা অফিস পৌঁছনোর ক্ষেত্রে সেভাবে কোনও সমস্যা তৈরি হবে না। ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম সূত্রে খবর, “শহরের রাস্তাঘাট মোটের উপর স্বাভাবিক, কোথাও সেভাবে যানজটের সমস্যা নেই। সোমবার কলকাতায় বড় কোনও মিটিং-মিছিল নেই। ফলে আলাদা করে রাস্তা স্তব্ধ হওয়ার সম্ভাবনা কম।”
সোমবার থেকে স্কুল খুলছে। প্রথম দিন ট্রাফিকের জন্য বেগ পোহাতে হবে না। উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন আগেও তাপপ্রবাহের জন্য দুপুরে কোনও যানবাহন পাওয়া যাচ্ছিল না। ট্যাক্সি থেকে বাস, পাবলিক ট্রান্সপোর্টের জন্য রীতিমতো হা পিত্যেশ করতে হচ্ছিল সাধারণ মানুষকে।
কিন্তু, গত কয়েকদিন ধরে কমেছে তাপমাত্রা। শুক্রবার শহরে বিভিন্ন এলাকাতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হয়। এরপরেইকলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গেরজেলাগুলিতে ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে তাপমাত্রার পারদ। তীব্র গরমে দুপুরে রাস্তাঘাটে বার হওয়া একপ্রকাশ অসম্ভব হয়ে উঠছিল। সেই পরিস্থিতিও কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে।
ফলে দুপুরের দিকে ট্যাক্সি বা বাস পাওয়ার সমস্যাও শনিবার থেকে বেশ কিছুটা মিটেছে। কাজে প্রতিদিন উলটোডাঙা থেকে ধর্মতলা যেতে হয় রবি বসুকে। তিনি বলেন, “শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত আমাকে বেলা ১২টায় উলটোডাঙা থেকে বাস পেতে বিস্তর ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। ট্যাক্সিও দুপুরের দিকে রাস্তায় পাওয়া যাচ্ছিল না। ফলে বিস্তর সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছিল।”
তাঁর সংযোজন, “কিন্তু, শনিবার থেকে পরিস্থিতি বদলেছে। আমি বাস পাচ্ছি। গরমও খুব একটা বেশি নেই। কিছুদিন মনে হচ্ছিল আগুনের হলকা হাওয়া গায়ে এসে পড়ছে। সেই পরিস্থিতি থেকে অনেকটাই মুক্তি পেয়েছি। বাসে যাতায়াতের ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছে না।”
গড়িয়ার একটি স্কুলে পড়েন টালিগঞ্জের বাসিন্দা রিমা দের মেয়ে। রিমা বলেন, “আজ মেয়ের স্কুল খুলছে। গরমও অনেকটাই কমেছে। আশা করি, রাস্তায় যানচলাচল স্বাভাবিক থাকবে।”