Malda Mango : দাম মাত্র ৩ টাকা কেজি! বস্তা ভর্তি আম কেনার হিড়িক মালদায় – malda mango selling only three rupees per kg


West Bengal News : এ যেন পুরো সোনায় সোহাগা! মালদা জেলার বিভিন্ন প্রজাতির সুস্বাদু আম, তাও মাত্র মাত্র তিন টাকা কেজি! মরশুমের শুরুতেই মালদার আমের দাম নামল তিন টাকায়। জেলার আম বাগান গুলিতে এখন তিন টাকা কেজি হিসাবে বিক্রি হচ্ছে আম। আম ব্যবসায়ীরা সেই আম বাগানে গিয়ে বস্তা ভর্তি করে আম কিনছেন।

এখন জেলার বাগান গুলিতে এমনই ছবি। কম বেশি জেলার প্রতিটি বড় বড় বাগানে আম কেনার হিড়িক পড়েছে। তবে এই আম পাকা নয়। কারণ এখন মালদার আম পাকার সময় হয়নি।

Serampore Special Kulfi : গরমে শরীর ঠাণ্ডা করতে শ্রীরামপুরে দাপাচ্ছে স্পেশাল কুলফি, মজে আট থেকে আশি
উদ্যান পালন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামি মে মাসের মাঝামাঝি থেকে মালদায় আম পাকবে। কিন্তু এখন যে সমস্ত আম বিক্রি হচ্ছে সেগুলো মূলত আচারের জন্য। তবে এই আমের চাহিদা ব্যাপক রয়েছে। সব আম এখন বিক্রি হচ্ছে না।

বর্তমানে মালদা জেলা জুড়ে চলছে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ। এই কারণে বাগানে অনেক আম ঝরে পড়ছে। জলের অভাবে শুকিয়ে ঝরে যাচ্ছে আম। ঝরে পড়ে থাকা আম কুড়িয়ে জমা করছে আশেপাশের কিশোর কিশোরীরা।

Heatwave in West Bengal : তীব্র গরমে তালের রস খেতে উপচে পড়া ভিড়, বেজায় খুশি ব্যবসায়ীরা
বাগানে পড়ে থাকা আম কুড়িয়ে সেগুলিকে কেটে বিক্রি করছে। বাগানে পড়ে থাকা আম কুড়িয়ে কেটেই বিক্রি করতে হচ্ছে। সকলেই এই আম কিনছেন না। জেলায় বেশ কিছু ব্যবসায়ী এই আম ভিন রাজ্যে বিক্রি করেন।

সেখানে এই আমের আচার হয়। বাগান থেকে ব্যবসায়ীরা আম কিনে সেগুলি একত্রিত করে লবন দিয়ে রাখেন। তারপর সেগুলো ভিন রাজ্যের আচার কোম্পানি গুলোতে পাঠানো হয়। ছোট থেকেই বিক্রি হয় মালদার আম। শুধু পাকা আম বাইরে যায় না। কচি ছোট মালদার আমের কদর রয়েছে বাইরে।

এখন থেকেই শুরু মালদার আম ভিন রাজ্যে পাঠানো। আগামিতে কাঁচা পাকা সব ধরণের আম পাঠানো হবে। বর্তমানে বাগানে কুড়ানো আম বিক্রি করেই আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন আশেপাশের বাসিন্দারা। তবে এই মুনাফা বাগান মালিকদের নয়। বাগানের আশেপাশের গ্রামের মুলত খুদেরা আম কুড়িয়ে বিক্রি করছে।

Duare Sarkar : দুয়ারে সরকারে ৮৫ হাজার আবেদন জমা, নব্বই শতাংশ সমস্যার সমাধান জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের
প্রতিদিন গড়ে ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত রোজগার হচ্ছে। এক আম বাগান মালিক বলেন, “এখন দম ফেলার সময় নেই আমাদের। সময়ে অসময়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে ব্যবসায়ীরা আসছেন বস্তা বস্তা আম কিনতে। আর এই কাজে ভালো মুনাফাও হচ্ছে। তবে সব আম বিক্রি করে দিলেই হবে না। ভালো আম রেখে দিতে হচ্ছে পাকানোর জন্য।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *